বেশিরভাগ মেয়েই ড্রেসিটেবিলে কসমেটিকস সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। এতে বাহারি ব্রান্ডের টিউব বা কৌটাগুলো দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, তেমনি কোথাও যাওয়ার সময় দ্রুত সাজগোজ করে রেডি হওয়া যায়। তবে সব কসমেটিকস কিন্তু বাইরে রাখা ঠিক না। কিছু কিছু কসমেটেকসের গায়ে ঠাণ্ডা ও অন্ধকার স্থানে রাখার কথা উল্লেখ করা হয়। আবার কোনো কোনোটার গায়ে কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখা উচিত, সেটিও লেখা থাকে। তাই ফ্রিজে না রাখলে অনেক কসমেটিকসই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেই কোন কোন কসমেটিকসগুলো ফ্রিজে রাখবেন।
লিপস্টিক ও লিপবাম
আপনার পছন্দের লিপস্টিক্গুলি ফ্রিজে রেখে দিন। এতে অনেকদিন সেগুলো ভালো থাকবে। আর প্রতিদিনের ব্যবহারের লিপস্টিকটি হ্যান্ডব্যাগে অথবা একদম হাতের কাছে রাখতে পারেন। নইলে গরমে নরম হয়ে লিপস্টিক ভেঙে যেতে পারে। তাই ডেইলি ব্যবহারের গলে যাওয়া লিপস্টিকটি ঘণ্টা খানেক ফ্রিজে রেখে দিলে আবার আগের মতো শক্ত হয়ে যায়। লিপবামের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম ফলো করতে পারেন।
নেইল পলিশ
রোদের আলো এবং গরম নেইল পলিশের পাতলা ভাবকে ঘন করে ফেলে। এমনকি অনেক সময় রঙের পরিবর্তন হতে পারে। তাই রেফ্রিজারেটর মধ্যে নেইল পলিশ রাখলে পেইন্ট পাতলা থাকতে এবং তার প্রকৃত রং সংরক্ষিত থাকে।
আই লাইনার-মাশকারা
আই লাইনার ও মাশকারা অনেক অনেক তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আই লাইনার যদিওবা ১ থেকে ২ বছর রেখে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু মাশকারা খোলার ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এই কসমেটিকসগুলো বেশি দিন ব্যবহার করতে চাইলে ফ্রিজে রাখতে হবে। এছাড়া নতুন আই লাইনার ও মাশকারা কেনার পর সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলির সিল না খুলে ফ্রিজে রাখতে পারেন। দেই। পুরনোগুলি যখন শেষের পথে তখনই নতুনগুলি খুলবেন। এভাবে এগুলো কিছুদিন বেশি ব্যবহার করতে পারবেন।
টোনার
টোনারের প্রধান উদ্দেশ্য ওপেন পোরস সঙ্কুচিত করা, পাশাপাশি ত্বকে ফ্রেস এবং টাইট করা। টোনারে যে উপাদানগুলি ব্যবহার করা হয় তাতে টোনার এমনিতেই ঠাণ্ডা থাকে। তাই ফ্রিজে টোনার রাখলে আরও ভাল ফল পাওয়া যায়।
ঘরে তৈরি মাস্ক ও লোশন
আমরা ঘরে যে সমস্ত মাস্ক বা লোশন তৈরি করি খুব ভাল হয় ব্যবহারে কিছুক্ষণ আগে তৈরি করে নেওয়া। কারন এই ধরনের সামগ্রি ঘরের তাপমাত্রায় কিছু সময়ের জন্য ভাল থাকে। আবার আমারা তো আর এতে প্রিজারভেটিভ মেশাই না। তবে সময়ের অভাবে তো সবসময় তো আর পরিমাণ মতো বানানো যায় না, কিছুটা বেশি বানাতে হয়। তখন অতিরিক্ত মাস্ক ও লোশন ফ্রিজে রেখে দিন। সময়মোত ফ্রিজ থেকে নিয়েই ব্যবহার করতে পারবেন। ঘরে তৈরি বিউটি প্রডাক্ট এক সপ্তাহের মতো ভাল থাকে।
ক্রিম
আরও যে সমস্ত প্রডাক্ট ফ্রিজে রাখা যায় তা হলো যেমন শীতকালীন ক্রিম যা গরমে ব্যবহার করা যায় না। তেমনিভাবে গরমকালে ভেনিশিং ক্রিমও শীতকালে ব্যবহার করা যায় না। এগুলো নিশ্চিন্তে ফ্রিজে রেখে দিন। ইজিলি পরের শীত বা গরমের সিজনে ব্যহার করতে পারবেন। কেননা ক্রিমের মেয়াদ ২ থেকে ৩ বছর থাকে।
পারফিউম
বেশিরভাগে মেয়েরাই পারফিউম বা সুগন্ধী শোকেজ বা ড্রেসিংটেবিলে সাজিয়ে রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু গরম বা সূর্যের আলোয় সহজেই নষ্ট হয়ে যায় পারফিউমের গুণাগুণ। তাই বেশিদিন এসব সামগ্রী ব্যবহার করতে চাইলে ফ্রিজে রাখাই উত্তম।