করোনা ঠেকাতে সোনার মাস্ক 

বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন। তাই আজকাল বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক আমাদের নিত্য সঙ্গী। এ ক্ষেত্রে কাপড়ের তৈরি মাস্কই ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে। এসব মাস্কের বেশিরভাগই কিন্তু ওয়ান টাইম ইউজড। অর্থাৎ একবার ব্যবহারের পরই সেগুলো ডাস্টবিনে ফেলা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এক ভারতীয় নিজের জন্য সোনার মাস্ক বানিয়ে নিয়েছেন এবং দিব্যি এটি পড়ে ঘুরেও বেড়াচ্ছেন। এটির দাম পড়েছে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লাখ টাকা।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম কলকাতাটুয়েন্টিফোর জানাচ্ছে, মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনে জেলার পিম্পরি চিনচওয়াড় এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর কুরাদে নিজের জন্য একটি সোনার মাস্ক তৈরি করেছেন। দিব্যি সেটি পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।

কুরদে বলছেন, তার এই মাস্ক বানাতে ২ দশমিক ৮৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। খুব পাতলা পাতলা সোনার পাত দিয়ে স্তর বানানো হয়েছে মাস্কে। পরতে কোনও অসুবিধাই হয় না। রয়েছে শ্বাস নেওয়ার জন্য সূক্ষ্ম ছিদ্র। তবে এই মাস্ক করোনা ঠেকাতে কার্যকর কিনা তা জানেন না তিনি।

শঙ্কর কুরাদের স্বর্ণালঙ্কারের প্রতি রয়েছে অনেক দুর্বলতা। তাই সব সময় তার গলায় মোটা মোটা সোনার চেন দেখা যায়। কেবল তিনিই নন, তার বাড়ির প্রত্যেকেই সোনা পরতে ভালবাসেন, তা সে যা দামই হোক না কেন।

কুরদের দাবি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তিকে রুপার তৈরি মাস্ক পরতে দেখে তার মাথায় এই মাস্ক তৈরি করার পরিকল্পনা আসে।

এই সোনার মাস্ক বানাতে লেগেছে সাড়ে পাঁচ পাউন্ড সোনা। আর কেবল নিজের জন্য নয়, কুরদ বলছেন, বাড়ির সবাই যদি এই সোনার মাস্ক চায়, বানিয়ে দেবেন তিনি। যদিও সোনার তৈরি মাস্ক করোনা ঠেকাতে পারবে কীনা সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই কুরদের।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পারুক আর না পারুক, এই মাস্ক যে জন্য একটা বাড়তি ঝামেলা সেটা কিন্তু নিশ্চিত। কারণ প্রতিবার ব্যবহারের পরই তাকে মাস্কটি জীবাণুমুক্ত করে রাখতে হবে। কেননা এটি তো আর অল্প দামের কাপড়ের মাস্ক না যে পরলাম আর খুলে ফেলে দিলাম। সোনার মাস্ক বলে কথা!

প্রসঙ্গত, ভারতে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। গোটা দেশে করোনা আক্রান্ত প্রায় ৭ লাখের (৬ লাখ ৭৩ হাজার ৯০৪) মধ্যে মহারাষ্ট্রেই রয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার। এই রাজ্যে কোভিড-১৯য়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৭৬ জনের।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/