সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট লিলাক

অধ্যাপক লিলাক আল সাফা

সৌদি আরবের ইলেক্ট্রনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক লিলাক আল সাফা। দেশটিতে তিনি হচ্ছেন প্রথম নারী যিনি একসঙ্গে ছেলে ও মেয়েরা অধ্যায়ন করেন এমন কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের এত বড় পদে নিয়োগ পেলেন। সূত্র গালফ নিউজ

সম্প্রতি সৌদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য পাঁচজন শিক্ষাবিদকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগ দিতে রাজকীয় ফরমান জারি করেছে রিয়াদ সরকার। ওই পাঁচ প্রেসিডেন্টের একজন হচ্ছেন লিলাক।

তিনি অস্ট্রেলিয়ার ওয়ালংগং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন। এরপর এই বিষয়েই এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া কম্পিউটার সায়েন্সের ওপর ডক্টরেট করেছেন লিলাক।

লিলাকের শিক্ষকতা জীবনের শুরু সৌদির বিখ্যাত কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে। পাশাপাশি এখানকার বিজনেস ডিপার্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী হিসাবে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। 

পাশাপাশি তিনি সৌদি নারীদের টেকনলজি ইনকিউবেটারের পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। নারী ও চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোক্তা কেন্দ্রের উন্নয়নেও অবদান রয়েছে তার।

তিনি সৌদি জেনারেল কর্তৃপক্ষের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এবং সৌদি ইলেকট্রনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, গুণগত মান এবং উন্নয়নের  পরামর্শক হিসাবেও কাজ করেছিলেন।

চলতি বছরের গোড়ার দিকে তিনি মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ন্যাশনাল টেকনলজি অফিসার হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সৌদি আরব সে দেশের নারী উন্নয়নকে সামনে রেখে বেশ কিছু নাটকীয় সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার হাতে নিয়েছে। এরই আওতায় ২০১৮ সালে দীর্ঘ কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞা ভেঙে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হয়। গত বছরের আগস্টে কোনো পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই ভ্রমণের অনুমতি পেয়েছেন সৌদি নারীরা। শুধু তাই নয়, তারা এখন থেকে কোনো পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই নিজেদের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে।

এদিকে বাদশাহ সালমান গত সপ্তাহে সৌদি মানবাধিকার কমিশন কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে ১৩ জন নারীকে নিয়োগ দেয়ার জন্য একটি ডিক্রি জারি করেছেন। তার এই পদক্ষেপ সৌদি আরবে নারীর ক্ষমতায়নকে আরও 
মজবুত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/