মালয়েশিয়ার উপকূলে নৌকাডুবি, ২৪ রোহিঙ্গা নিহত

আবারও নৌকাডুবি আবারও কিছু অভিবাসীর মৃত্যু। এবার মালয়েশিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয়েছেন কমপক্ষে ২৪ জন রোহিঙ্গা অভিবাসী। আশঙ্কা করা হচ্ছে তাদের কেউ আর বেঁচে নেই। মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিতে গিয়ে থাইল্যান্ডের কাছে ওই নৌকাডুবির ঘটনায় তারা  নিহত হয়েছেন। রোববার এক কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

মালয়েশিয়ার কেদাহ ও পেরলিস রাজ্য দুটির কোস্টগার্ড প্রধান মোহামাদ জাওয়াবি আবদুল্লাহ জানান, ওই নৌ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া একমাত্র জীবিত রোহিঙ্গা যুবক নুর হোসেইনকে (২৭) আটক করেছে পুলিশ। রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকাটি সাগরে ডুবে যাওয়ার পর ওই যুবক সাঁতরে মালয়েশিয়ার লাংকাবি দ্বীপে ওঠে আসে। পরে সেখান থেকে পুলিশ তাকে আটক করে।

পুলিশের বরাত দিয়ে জাওয়াবি জানান, কমপক্ষে ২৪ জন অবৈধ রোহিঙ্গা অভিবাসী নৌকা থেকে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিল। তাদের ভিতর থেকে কেবল নুর হোসেনই সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছে। বাকিরা সাগরে ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, ডুবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে। তবে এদের কাউকে জীবিত বা মৃত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর নৌকাটির কি হয়েছে সেটিও অস্পষ্ট। তাছাড়া রোহিঙ্গা অভিবাসীরা নৌকা থেকে কেন সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সে ব্যাপারেও কিছু জানা যায়নি।

আশ্রয় নেওয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের কাছে মুসলিম অধ্যুষিত মালয়েশিয়া দেশটি খুবই প্রিয়। বৌদ্ধ অধ্যুষিত মিয়ানমার সরকারের অত্যাচার থেকে বাঁচতে তাদের বেশিরভাগই মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নিতে ইচ্ছুক।  কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে রোহিঙ্গা অভিবাসীদের ঢল বন্ধ করতে তৎপর রয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

তিন বছর আগে মিয়ানমারে সামরিক  অভিযানের মুখে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। এদের অনেকেই এখন উপচে পড়া শরণার্থী শিবির ছেড়ে মালয়েশিয়া এবং প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়া আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে তারা নৌকায় করে মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকেন।

এদিকে মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড জাওয়াবি আরও জানিয়েছেন, সাগরে ডুবে যাওয়া রোহিঙ্গাদের খুঁজে পেতে সাগরের নির্দিষ্ট এলাকায় পরিচালিত উদ্ধার অভিযানে দুটি বিমান ও দুটি নৌকা মোতায়েন করা হয়েছে।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/