এক নারীকে নিয়ে দুই স্বামীর সংঘাত, প্রথম স্বামী নিহত

প্রতীকী ছবি

এক নারীকে নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হন দুই স্বামী। এতে আহত হন দুজনই। তবে আহত হওয়ার ১০ দিনের মাথায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে প্রথম স্বামী মো. শাহ আলম বিশ্বাস (৫০) মারা যান।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ জুলাই বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায়।

সংঘর্ষে আহত দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমান হাওলাদারের (৪৮) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা যায়, প্রায় দুই যুগ আগে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম কদমতলা গ্রামের আবদুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে শাহ আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় পশ্চিম খাদা গ্রামের মানিক হাওলাদারের মেয়ে নূপুর বেগমের (৩৫)। তাদের সংসারে তিনটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে বনিবনা না থাকায় শাহ আলমের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় নূপুর বেগমের। পরে  রহমান হাওলাদারে সাথে তার বিয়ে হয়। কিন্তু নূপুর বেগমের এই বিয়ে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না তার প্রথম স্বামী। স্ত্রীর অধিকার নিয়ে দুই জনের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি ও দ্বন্দ্ব হতো।

এ দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ২২ জুলাই রাত ১২টার দিকে প্রথম স্বামী শাহ আলম বিশ্বাস চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দ্বিতীয় স্বামী আ. রহমানকে। এ সময় রহমানের আত্মীয়স্বজনরা এসে শাহ আলমকেও আটক করে বেদম প্রহার করে।

প্রথম পর্যায়ে গুরুতর আহত দ্বিতীয় স্বামী রহমানের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ে। তখন  শাহ আলমকে মারধরের বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। ফলে ভীতসন্ত্রস্ত স্বজনরা শাহ আলমকে ওই রাতে গোপনে শরণখোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত খুলনা মেডিকেলে (খুমেক) রেফার্ড করান।

পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহ আলমকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয় । ঘটনার ১০ দিনের মাথায় গত শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সোমবার সকালে শাহ আলমের লাশ তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/