পবিত্র কোরআনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ওআইসি’র নিন্দা

সুইডেনের মালমো শহরে মুসলমাদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের কপি পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংগঠন (ওআইসি)।

এক বিবৃতিতে ওআইসি এ কাজকে উসকানিমূলক আচরণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

ওআইসির ইসলাম বিদ্বেষী অবজারভেটরি বডি সারা বিশ্বে এমন ইসলামফোবিয়া ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে। কোরআন পোড়ানো ঘটনায় সুইডিশ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ওআইসি। এছাড়া অবজারভেটরির পক্ষ থেকে সুইডেনের মুসলিমদের সংযম ও সংঘাত এড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে সুইডেনের ডানপন্থি উগ্রবাদীরা শহরটিতে কোরআনের কপি পোড়ায়। স্থানীয় একটি দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার মালমোর একটি পাবলিক স্কয়ারে তিন উগ্র খৃষ্টান কোরআনের একটি কপিতে লাথি মেরে অসাম্মান জানায় এবং মুসলিমদের পবিত্র গ্রন্থটিতে অগ্নিসংযোগ করে। এর প্রতিবাদে প্রায় ৩০০ মানুষ একটি বিক্ষোভে অংশ নেয়। সেখান থেকে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ডেনমার্কের কট্টর দক্ষিণপন্থী রাজনীতিক রাসমুস পালাদুন কোরআন পোড়ানোর ওই ঘটনায় অংশ নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সুইডিশ পুলিশ তাকে ঢুকতে দেয়নি। তবে তার সমর্থকরা এরপরও কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় অংশ নেয়।

রাসমুস পালাদুন কট্টর দক্ষিণপন্থী স্ট্রাম কুর্স দলের নেতা। ডেনমার্কে বর্ণবাদ এবং অন্যান্য অপরাধে তাকে এক মাসের জেল দেয়া হয়েছিল। তার দলের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলে ইসলাম বিরোধী ভিডিও পোস্ট করার অভিযোগে তার সাজা হয়।

সুইডেনের মালমোতে বসবাস করেন বাংলাদেশি সাংবাদিক তাসনীম খলিল। তার সঙ্গে কথা বলেন বিবিসি বাংলার শাকিল আনোয়ার।

তাসনীম খলিল বিবিসি বাংলাকে জানান, রাসমুস পালাদুনের অনুসারীরাই কোরান পুড়িয়েছে বলে ধারণা করা যায়।

তিনি জানান,একটি সাইকেল চালানোর রাস্তায় গোপনে এরা কোরান পুড়িয়েছে। এই ঘটনাটি তারা নিজেরাই ভিডিও করেছে। এরপর তারা এটি একটি ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে।

পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/