লিবিয়া উপকূলে বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের নৌকাডুবি, নিহত ৩

লিবিয়ার উপকূলের ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের বহনকারী একটি ছোট্ট নৌকা ডুবে গেলে কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৩ জন। ধারণা করা করা হচ্ছে, এসব নিখোঁজ লোকজন সাগরে ডুবে মারা গেছেন।

শুক্রবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

 জানা যায়, যুদ্ধকবলিত লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য নৌকায় করে পাড়ি জমিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা। তাদের বহনকারী ছোট্ট নৌকাটি বুধবার রাতে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলির পূর্বাঞ্চলীয় জিলিটেন শহর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল।  কিন্তু শরতের কঠিন আবহাওয়া ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এটি ডুবে যায়।  এসময় ডুবতে থাকা নৌকাটি লিবিয়ার জেলেদের নজরে আসে এবং তারা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ইতিমধ্যে সাগর থেকে ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া এসব অভিবাসীরা বাংলাদেশ, মিশর, সিরিয়া সোমালিয়া ও ঘানার নাগরিক বলে জানা গেছে। উদ্ধারের পর তাদের ত্রিপোলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তবে নৌকাটিতে সবমিলিয়ে কতজন যাত্রী ছিলেন তার কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়নি।

এছাড়া সাগরে ডুবে মারা যাওয়া তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে লিবিয়ার জেলেরা। এদের মধ্যে দুজন নারী ও পুরুষ সিরিয়ার নাগরিক। বাকি একজন কোন দেশের বাসিন্দা তা জানা যায়নি।

২০১১ সালে লিবিয়ার সাবেক শাসক গাদ্দাফির পতনের পর এই দেশ দিয়ে অনেক অভিবাসী ইউরোপে যাওয়া শুরু করেন। পাচারকারীরা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ নৌকায় মানুষদের সাগরে ভাসায়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে এই অঞ্চল থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে সাগরে ডুবে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ মারা গেছে। তারপরও এই রুট দিয়ে বিপজ্জনকভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের ইউরোপে যাওয়ার প্রচেষ্টা কমেনি।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/