যে কারণে ১৭ দিনের মেয়েকে পুকুরে ফেলে দিলেন মা

প্রতীকী ছবি

অনলাইন ডেস্ক

অবশেষে ১৭ দিনের মেয়েশিশু সানজিদাকে পুকুরে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মা শান্তা আক্তার। কারণ হিসাবে তিনি পুলিশকে জানান, শিশু সানজিদার ওপর ‘জিন’ ভর করায় তিনি তাকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোড়েলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মণ্ডল জানান, গত শুক্রবার মোড়েলগঞ্জ পুলিশ শান্তা আক্তারকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি নিয়েছে। এরপর আদালতের বিচারক শান্তা আক্তারকে জেলে পাঠান।

ঘাতক শান্তা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার বনগঞ্জ গ্রামের মো. ইউনুছ শেখের মেয়ে। ২০১৭ সালে নিজ এলাকার উজ্জ্বল ভূঁইয়া নামের এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সেখানে শান্তার ২ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে ২০১৯ সালের দিকে শান্তার সঙ্গে মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামের সুজন খানের সঙ্গে প্রেম হয়। শান্তা তখন তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে সুজনকে বিয়ে করেন এবং নতুন করে সংসার শুরু করেন।

কিন্তু সুজনের আগের স্ত্রী ও শান্তা আক্তারের আগের স্বামী ও সন্তানসহ নানা বিষয় নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে শান্তার পারিবারিক ঝামেলা শুরু হয়। এই ঝামেলার জের ধরেই শান্তা গত ১৫ নভেম্বর তার শিশুকন্যা সানজিদাকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন। এরপর শিশুটি চুরি যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তখন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার কাছ থেকে ১৭ দিন বয়সী শিশুকন্যা চুরি যাওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। পরে ১৮ নভেম্বর শিশুটির লাশ বাড়ির লোকজন পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুকুর থেকে লাশ উদ্ধারের পর শিশুর বাবা সুজন খানকে আটক করে পুলিশ।

অবশেষে জানা গেল, বাবা সুজন নয়-নিজের মেয়েকে পুকুরে ফেলে খুন করেছেন তার মা শান্তা।

এদিকে শান্তা পুলিশের কাছে মেয়েকে পুকুরে ফেলে হত্যা করার কথা শিকার করার পর আদালতের কাছে ছেলের মুক্তি চেয়েছেন মামলার বাদী সুজনের বাবা আলী হোসেন ।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/