বেগম রোকেয়ার জীবনে বাতিঘর হয়ে এসেছিলেন যারা

শাহনাজ সিদ্দিকি

দেশে নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য সরকার পরিক্ষামুলকভাবে নানাবিধ সুযোগসুবিধা চালু করেছেন। বিশেষকরে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের সকল মেয়ে শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিকভাবে পড়ার সুযোগ পাবে, যার কার্যক্রম এখন প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু নারী শিক্ষার শুরুর দিকের ইতিহাস একটু ভিন্ন ধরনের। সমাজে একধরনের যুদ্ধ করেই নারীকে তার শিক্ষার অধিকার  প্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে। আর এক্ষেত্রে যিনি অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছেন তিনি হলেন নারীর অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ (১৮৮০-১৯৩২),যার প্রকৃত নাম
রোকেয়া খাতুন।

প্রবল ইচ্ছাশক্তি এবং পরিবারের কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় বেগম রোকেয়া হয়ে উঠেন একজন বাঙালি চিন্তাবিদ, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। বাঙালি সমাজ যখন ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা আর সামাজিক কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল, সেই সময় বেগম রোকেয়া বাংলার মুসলিম নারী সমাজে শিক্ষার আলো নিয়ে এসেছিলেন তাই তিনি ছিলেন বাঙালি মুসলমান নারী জাগরণের অন্যতম অগ্রদূত।

শিক্ষাব্রতী বেগম রোকেয়া  ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার অন্তর্গত পায়রাবন্দ ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা জহীরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের এবং মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার পূর্বপুরুষগণ মুগল আমলে উচ্চ সামরিক এবং বিচার বিভাগীয় পদে নিয়োজিত ছিলেন। বাবা আরবি, উর্দু, ফারসি, বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী থাকা সত্ত্বেও মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে ছিলেন বেশ রক্ষণশীল। তাই সেসময় তাদের পরিবারে মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর কোন চল ছিল না। কিন্তু বেগম রোকেয়ার বিভিন্ন লেখা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তার শিক্ষা লাভ বা অর্জনের পিছনে তার পরিবারের সদস্যরাই বিশেষ ভুমিকা পালন করেছেন-বিশেষ করে পুরুষ সদস্যরা।

তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় ঘরের বাইরে গিয়ে মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের কোন সুযোগ না থাকায় বেগম রোকেয়া প্রথম জীবনে দাদা ইব্রাহিম সাহেবের কাছে একটু আধটু উর্দু ও বাংলা পড়তে শেখেন। বলা যায়,  দাদাই তাকে শিক্ষার হাতেখড়ি দেন যদিও তা ছিল অত্যন্ত গোপনে। পরবর্তীতে শিশু বয়সে মায়ের সঙ্গে কলকাতায় বসবাসের সময় লেখাপড়ার প্রতি তার অধিক আগ্রহ লক্ষ্য করে মা কলকাতার এক ইংরেজ শিক্ষয়িত্রীকে নিয়োগ করেছিলেন মেয়ের লেখাপড়ার জন্য। কিন্তু বৈরী সমাজ ও আত্মীয়স্বজনের সমালোচনায় তার সেই প্রচেষ্টা বেশিদূর এগোতে পারেনি। যদিও ভাইবোনদের সমর্থন ও সহযোগিতায় অল্প বয়সেই তিনি আরবী, ফারসি, উর্দু ও বাংলা আয়ত্ত করেছিলেন।

বাবা জহীরুদ্দীন মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহী না থাকলেও ছেলেদের শিক্ষিত করে তুলতে কোনো কার্পণ্য করেননি। তিন ছেলের মধ্যে তৃতীয় জন ইসরাইল সাবের অল্প বয়সে মারা গেলে অপর দু’জন– ইব্রাহিম সাবের ও খলিলুর রহমান সাবেরকে তিনি কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ইংরেজি শিক্ষা অধ্যায়নের জন্য পাঠান। ফলে ইংরেজি শিক্ষা ও সভ্যতার সঙ্গে তাদের পরিচয় ঘটে যা তাদের চিন্তা-চেতনা কে প্রভাবিত করে। বেগম রোকেয়ার শিক্ষা, সাহিত্যচর্চা এবং সামগ্রিক মূল্যবোধ গঠনে বড় এই দুই ভাইয়ের যথেষ্ট অবদান ছিল।

রোকেয়া যে সময়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে সময়ে বাঙালি মুসলমান সমাজে কঠোরভাবে পর্দাপ্রথা মানা হতো বলেও মেয়েদের শিক্ষা লাভের কোনো সুযোগ ছিল না।  ফলে মেয়েদের অবস্থান ছিল খুবই শোচনীয়। কিন্তু মেধাবী রোকেয়ার লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখে বিদ্যানুরাগী ভাই ইব্রাহিম সাবের বোনদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন। বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেলে বোন করিমুন্নেসা ও রোকেয়াকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রদীপ ও মোমবাতির ক্ষীণ আলো জ্বালিয়ে বাড়িতেই ইংরেজি শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন ইব্রাহিম সাবের। ধীরে ধীরে অন্ধকারের গণ্ডি ছেড়ে শুরু হলো আলোকের পথে তাঁদের পথচলা। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞান নিতে নিতে একসময় হাতে উঠলো হরেক ছবির আর বাইরের পৃথিবীর গল্পভরা ইংরেজি বই।

কিন্তু বিষয়টি বাবা জহির উদদীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের টের পেয়ে যাওয়ায় আর বেশিদূর গড়াতে পারেনি। অনেকের মতো তিনিও মনে করতেন পুঁথিগত বিদ্যা মেয়েদের চক্ষুলজ্জা কমিয়ে দেয়, যা সংসারের অশান্তির কারণ। প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি করিমুন্নেসাকে বিয়ে দিয়ে দেন। এই বোনের শ্বশুরবাড়ি ময়মনসিংহের দেলদুয়ারে বেড়াতে গিয়ে ইউরোপিয়ান গভর্ন্যান্সের  কাছে ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ পান বেগম রোকেয়া। যা পরে তার খুব কাজে লেগেছিল ।
 
বড় ভাই ইব্রাহিম সাবেরের সহযোগিতার কথা তিনি বারবারই বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ করে বলেছেন, ‘দাদা, আমাকে তুমিই নিজ হাতে গড়িয়া তুলিয়াছিলে। পদ্মরাগ বইটি ইব্রাহিম সাবেরকে উৎসর্গ করেছিলেন বেগম রোকেয়া।

ইংরেজি ভাষায় জ্ঞানচর্চা যদিও ভাইয়ের কারণে রোকেয়ার কাছে তুলনামূলক সহজ হয়ে উঠেছিলো, কিন্তু সহজ ছিলো না নিজের মাতৃভাষার চর্চাটাই। সম্ভ্রান্ত মুসলিমদের কাছে তখন বাংলার চর্চাটাই হয়ে উঠছিলো নিষিদ্ধ। কিন্তু এক্ষেত্রে রোকেয়া সাহায্য পান বড় বোন করিমুন্নেসার। করিমুন্নেসার দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলের চেয়ে রোকেয়া মাত্র এক বছরের বড় হওয়ায় সকলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের সন্তানের সাথে ছোট বোন রোকেয়ারও লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।

নিজের জীবনে বড় বোনের এই অবদানের কথা মনে করে মতিচূর' দ্বিতীয় খন্ড করিমুন্নেসাকে উৎসর্গ করে রোকেয়া বলেন, ‘আপাজান! আমি শৈশবে তোমারি স্নেহের প্রসাদে বর্ণপরিচয় পড়িতে শিখি। অপর আত্মীয়গণ আমার উর্দু ও ফারসি পড়ায় ততো আপত্তি না করলেও বাংলা পড়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। একমাত্র তুমিই আমার বাংলা পড়ার অনুকূলে ছিলে। আমার বিবাহের পর, তুমিই আশঙ্কা করেছিলে যে, আমি বাংলা ভাষা একেবারে ভুলিয়া যাইব। চৌদ্দ বৎসর ভাগলপুরে থাকিয়া বঙ্গভাষায় কথাবার্তা কহিবার একটি লোক না পাইয়াও যে বঙ্গভাষা ভুলি নাই, তাহা কেবল তোমারই আশীর্বাদে।’

 ১৮৯৮ সালে কিশোরী বয়সেই বিহারের ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ের পর বেগম রোকেয়ার জীবনে নতুন এক অধ্যায়ের শুরু হয়েছিল। বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয়। শিক্ষালাভ ও মূল্যবোধ গঠনে বড় দুভাই ও বোন রোকেয়ার জীবনকে প্রভাবিত করলেও তার আসল লেখাপড়া শুরু হয়েছিল বিয়ের পর স্বামীর সাহচর্যে কেননা তিনি খুবই উদার এবং শিক্ষিত ব্যক্তি ছিলেন। এইসময়েই তিনি বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। কিছুটা উর্দু তো আগেই শিখেছিলেন। বিয়ের পর সেই শিক্ষা তাঁর উর্দুভাষী স্বামীর সহায়তায় আরও প্রসার লাভ করল এবং তাঁর কাছ থেকে ইংরেজিতেও খুব ভাল দক্ষতা অর্জন করলেন বেগম রোকেয়া।

বেগম রোকেয়ার সাহিত্যচর্চ্চার সূত্রপাতও হয়েছিল স্বামীর অনুপ্রেরণায়। তার সাহিত্যজীবন শুরু হয় ১৯০২ সালে 'পিপাসা' নামে একটি বাংলা গদ্য রচনার মধ্যে দিয়ে। বিভিন্ন সময়ে তাঁর নানা রচনা পত্রিকায় ছাপা হতে থাকে। ১৯০৫ সালে প্রথম ইংরেজি রচনা 'সুলতানাস ড্রিম' মাদ্রাজ থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ছাপা হয়। দিনে দিনে তার রচনা সুধীমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয় এবং তিনি সাহিত্যিক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

বেগম রোকেয়ার বিবাহিত জীবন মাত্র ১৩ বছরের। ১৯০৯ সালে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনর অকালমৃত্যু হয়। কিন্তু তাতেও তিনি থেমে যাননি। নারীকে মানুষের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির প্রয়োজনীয়তাকে তিনি গুরুত্ব দেন এবং মাত্র পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে তিনি ভাগলপুরে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন (সদ্য প্রয়াত স্বামীর স্মৃতি ও উদ্দেশ্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই এ নাম) যেটা ১৯১১ সালে কলকাতায় স্থানান্তর করা  হয়। শুধু যে স্কুলই প্রতিষ্ঠা করলেন তা কিন্তু নয় তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবেদন-নিবেদনও করেছিলেন। তার এই অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে ধীরে ধীরে নারীশিক্ষার অগ্রগতি সূচিত হয় এবং মেয়েরা শিক্ষার আলোর দিকে এগোতে থাকে।

নানা বাধা এড়িয়ে রোকেয়া আপন সাধনায় বাংলা ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন। তাই রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন একজন অসাধারণ নারী। রোকেয়ার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পাঁচটি: মতিচূর প্রথম খন্ড (১৯০৪), সুলতানাজ ড্রিম (১৯০৮), মতিচূর দ্বিতীয় খন্ড (১৯২২), পদ্মরাগ (১৯২৪) ও অবরোধবাসিনী' (১৯৩১)।

শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন এই উপমহাদেশের একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ।  ১৯১৫ সালে তিনি 'আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম' নামে একটি মহিলা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে দুস্থ নারীদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করা হতো। তাদের হাতের কাজ শেখানো হতো, সামান্য লেখাপড়া শেখানোর ব্যবস্থা ছিল। এক কথায় এই সংগঠনটির লক্ষ ছিল সমাজের সাধারণ দুস্থ নারীদের স্বাবলম্বী করে তোলা। বেগম রোকেয়া বুঝেছিলেন, শতকরা ১০০ জন অশিক্ষিত মুসলিম নারীর মধ্যে জাগৃতি আনতে হলে তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, আপনারা বিবেচনা করে দেখুন, হযরত মোহাম্মদ (স.) তেরশত বৎসর পূর্বে শিক্ষার উপকারিতা সম্বন্ধে কী বলেছিলেন- বিদ্যাশিক্ষা কর, যে বিদ্যাশিক্ষা করে সে নির্মল চরিত্রের অধিকারী হয়, যে বিদ্যাচর্চা করে সে আমার স্তব করে, যে বিদ্যা অন্বেষণ করে সে উপাসনা করে। যাঁহারা মোহাম্মদের (সা.) নামে প্রাণদানে প্রস্তুত হন, তারা তাঁর সত্য আদেশ পালনে বিমুখ কেন? … কন্যাকে শিক্ষা দেওয়া আমাদের প্রিয় নবী ফরজ অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বলিয়াছেন, তবু কেন তাঁহার কন্যারা শিক্ষায় উদাসীন? (মতিচুর ২য় খন্ড)।

বাঙালির আধুনিক যুগের ইতিহাসে তার নাম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নারী সমাজকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নতি কখনই সম্ভবপর নয়। সারা জীবন তিনি পিছিয়ে থাকা নারী সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে অধিকার সচেতন করে তোলার প্রয়াস নিয়েছিলেন। আসলে সোজা কথায় ময়ে তিনি নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং শিক্ষাগত মুক্তি নয়, সার্বিক মুক্তির কথা চিন্তা করেছিলেন।

১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মহীয়সী নারীর জীবনাবসান ঘটে। মাঝের সময়টা খুব একটা লম্বা নয় যার পুরোটা তিনি অতিবাহিত করেছেন প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই এই উপমহাদেশের, বিশেষ করে বাংলার নারীশিক্ষা ও নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় প্রথম যার নামটি আসবে তিনি হলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি' জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে  বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উদযাপন করে থাকে। এদিন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে  বিশিষ্ট নারীদের প্রদান করা হয় ‘বেগম রোকেয়া পদক’।

শাহনাজ সিদ্দিকি: সাংবাদিক ও লেখক। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র সাংবাদিক।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/