প্রতিবন্ধী বাবাকে আটকে রেখে না খাইয়ে মারলো ছেলে

প্রতীকী ছবি

জীবনের কী নির্মম পরিণতি! যে সন্তানের জন্য বাবা-মা তাদের সর্বস্ব বিকিয়ে দিতে দ্বিধা করেন না-সেই সন্তানই যখন তাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন মানবতা অবশিষ্ট থাকে কি? বলছিলাম এমনই এক হতভাগা দম্পতির কথা-যারা পুত্র ও পুত্রবধূর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘরে আটকে রেখেছিল তারই ছেলে ও ছেলের বউ। তাদের কোনওরকম খাবার ও ওষুধপত্র দেয়া হতো। পড়া-প্রতিবেশীরা যাতে তাদের সাহায্য করতে না পারে এজন্য ঘরের সামনে কুকুর বেঁধে রেখেছিলো। পরে প্রতিবেশী ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় ৮০ বছর বয়সী  ৭৬ বছর বয়সী স্ত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন বৃদ্ধ বাবা। তার অসুস্থ মাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।

সম্প্রতি ভারতের কেরালা রাজ্যের কোত্তায়াম জেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

বৃদ্ধ বাবা-মাকে বেশ কিছুদিন ধরে ঘরে বন্দি করে রেখেছিলো তাদের ছেলে রেজি। তাদের ঘর থেকে বের হতে দেয়া হতো না। এমনকি খাবার দাবারও দেয়া হতো না তাদের। তার বাবা পদিয়াম ছিলেন প্রতিবন্ধী। তিনি ডানে হাতে খাবার তুলে খেতে পারতেন। কিন্তু তাতেও বাবার প্রতি বিন্দুমাত্র দয়া হয়নি তার ছেলে রেজির।

এ অবস্থায় পাড়া প্রতিবেশীরা বৃদ্ধ দম্পতিকে মাঝে মধ্যে ঘরের জানালা দিয়ে খাবার সরবরাহ করতো। কেননা সদর দরজা দিয়ে তাদের সাহায্য করার জো ছিল না। কেউ যাতে তাদের সাহায্য করতে না পারে এজন্য তাদের ঘরের দরজার সামনে কুকুর বেঁধে রাখা হয়েছিল।

কিন্তু গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিষয়টি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরে পড়ে। তারা অচেতন অবস্থায় বৃদ্ধ পদিয়ান ও  তার স্ত্রী আম্মিনিকে উদ্ধার করেন। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান পদিয়াান। তবে তার অসুস্থ স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।

এদিকে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর পালিয়ে যান তার ছেলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে হাজতে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

সূত্র-গালফ নিউজ

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/