শুভ জন্মদিন কবিশ্রেষ্ঠ জীবনানন্দ দাশ

আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি জীবনানন্দ দাশের জন্মদিন। তাকে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল-পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি হিসাবে মনে করে থাকেন অনেক সমালোচক। যদিও জনপ্রিয়তায় তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে। বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম সফল গদ্য কবিতা রচনা করেন। কেবল কবিতা নয়- গদ্য সাহিত্যেও নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন এই কবি। লিখেছেন উৎকৃষ্টমানের বহু গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ-তার লেখা উপন্যাসের সংখ্যাই সবমিলিয়ে ১৯টি।  কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, জীবনানন্দ কবি হিসাবে তার পাঠক ও সমালোচকদের কাছে যতটা সমাদর পেয়েছেন, সেভাবে তার গদ্য সাহিত্যের মূল্যায়ন হয়নি। তাছাড়া নিজের জীবদ্দশায় কোনও উপন্যাস বা গল্প প্রকাশ করেননি এই প্রচারবিমুখ লেখক। তবে জীবিকার তাড়নায় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন নিয়মিত-যদিও সেগুলোর সংখ্যাও খুব বেশি নয়।

প্রাথমিক ও কর্মজীবন
১৮৯৯  সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বরিশাল শহরের এক আধুনিক ও সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্ম জীবনানন্দ দাশের। তাদের আদি বাড়ি ছিল ঢাকা সংলগ্ন বিক্রমপুর জেলায়। সেখান থেকে বরিশালে নিবাস স্থাপন করেন তার দাদা সর্বানন্দ দাশগুপ্ত। তার দাদা বরিশালে ব্রাহ্ম সমাজ আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। পাশপাশি ব্যাপক জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য সেকালে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন সর্বানন্দ দাশগুপ্ত। জীবনানন্দের বাবা সত্যানন্দ  দাশগুপ্ত ছিলেন বরিশাল ব্রজমোহন স্কুলের শিক্ষক। এছাড়া বরিশাল ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র ব্রাহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। অন্যদিকে জীবনানন্দের মা কুসুমকুমারী ছিলেন আলোচিত বাঙালি কবি। তার ‘আদর্শ ছেলে’কবিতাটি (আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/কথায় না বড় হয়ে কাজে বড়ো হবে) এখনও শিশুশ্রেণির পাঠ্য।

বাবা-মায়ের জ্যেষ্ঠ সন্তান জীবনানন্দ দাশের ডাকনাম  মিলু। তার লেখাপড়ায় হাতেখড়ি বাড়িতে মায়ের কাছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠেই পিতার কণ্ঠে উপনিষদ আবৃত্তি ও মায়ের গান শুনতেন। লাজুক স্বভাবের হলেও খেলাধুলা, বাগান করা, ভ্রমণ ও সাঁতার কাটতে ভালবাসতেন ছোট্ট মিলু। জীবনানন্দ দাশের স্কুল শুরু আট বছর বয়সে। ১৯০৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি ভর্তি হন বরিশালের ব্রজমোহন বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে। ১৯১৫ সালে এই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন (বর্তমানে এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেন। দু'বছর পর ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষায় পাস করেন  ব্রজমোহন কলেজ থেকে। এরপর উচ্চতর ডিগ্রির জন্য কলকাতায় পাড়ি জমান। কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স সহ বিএ পাস করেন ১৯১৯ সালে।

১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এম. এ. ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আইন পড়া শুরু করলেও তা শেষ করতে পারেননি, কেননা এর আগেই তাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় জীবন সংগ্রামে। ১৯২২ সালে কলকাতার সিটি কলেজের শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন জীবনানন্দ দাশ। তবে খুব বেশি দিন এখানে কাজ করার সুযোগ হয়নি তার। এরপর বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করলেও কোনটাতেই থিতু হতে পড়েননি। স্থায়ী কর্মসংস্থান না থাকায় সারাজীবন দারিদ্র্যতার সাথে সংগ্রাম করতে হয়েছে কবিকে। কলকাতায় স্থায়ী কোনও কাজের সুযোগ তৈরি না হওয়ায় ১৯৩৫ সালে মাতৃভূমি বরিশালে ফিরে আসেন এবং শিক্ষকতা পেশাতেই ভাগ্য গড়ার চেষ্টা করেন কবি। বরিশালের একটি কলেজে প্রভাষক হিসাবে যখন থিতু হওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু তখেই এতে বাধ সাধে রাজনৈতিক ডামাঢোল। কলকাতাসহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে ভয়বহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এ অবস্থায় ১৯৪৭-এ দেশ বিভাগের আগে আগে বাংলাদেশ থেকে সপরিবারে পাকাপাকিভাবে কলকাতায় চলে আসেন জীবননান্দ দাস। কলকাতায় এসেও কবির আর্থিক অবস্থার কোনও সুরাহা হয়নি-বরং মুখোমুখি হন আরো বেশি নিদারুণ অর্থ সংকটে।

তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এগুলোর মধ্যে কলকাতা সিটি কলেজ (১৯২২-১৯২৮), খুলনার বাগেরহাট কলেজ (১৯২৯); দিল্লী রামযশ কলেজ (১৯৩০-১৯৩১),  বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ,(১৯৩৫-১৯৪৮), কলকাতার খড়গপুর কলেজ (১৯৫১-১৯৫২),  বড়িশা কলেজ (অধুনা বিবেকানন্দ কলেজ, ১৯৫৩) এবং হাওড়া গার্লস কলেজ (১৯৫৩-১৯৫৪) অন্যতম। সবমিলিয়ে তার কর্মজীবন কখনই সুখকর ছিল না। গোটা জীবন চরম দারিদ্র্যতার সাথে লড়ে গেছেন। কলকাতায় একটা মোটামুটি মাইনের চাকুরির জন্য হন্যে হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন তিনি। এসময় তার স্ত্রী লাবণ্য দাশ স্কুলে শিক্ষকতা করায় জীবিকার অভাব কিছুটা দূর হলেও কবির বরাবরই আত্মগ্লানিতে ভুগতেন। ১৯৫৪ সালে মারা যাওয়ার সময় তিনি হাওড়া গার্লস কলেজ কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ বেকার জীবনে কলকাতায়  ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট, এমনকি গৃহশিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন আমাদের প্রিয় কবি। এছাড়া ব্যবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন বছরখানেক। কিন্তু এর কোনটিতেই সফল না হওয়ায় দারিদ্র্য আর অনটন ছিল তার কর্মজীবনের নিত্যসঙ্গী।

সাহিত্যে অবদান
বাংলা সাহিত্যে জীবনানন্দ দাসের অবদান বলে শেষ করার নয়। অভাব অনটনের ভিতর দিয়ে গেলেও তার লেখায় ছেদ পড়েনি কখনই। তিনি দু হাতে লিখেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ। যদিও জীবদ্দশায় তিনি কেবল কবি হিসাবেই স্বীকৃতি পান। মা কুসুমকুমারী দাশের প্রভাবে শৈশবেই কবিতা লিখতে শুরু করেন কবি। তার প্রথম কবিতা ‘বর্ষা আবাহন’প্রকাশিত হয় ১৯১৯ সালে। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ব্রহ্মবাদী পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায়, শ্রী জীবনানন্দ দাশগুপ্ত নামে। ১৯২৭ সাল থেকে তিনি জীবনানন্দ দাশ নামে লিখতে শুরু করেন।  

১৯২৬ সালে দীনেশরঞ্জন দাস সম্পাদিত কল্লোল পত্রিকার ফাল্গুন সংখ্যায় তার ‘নীলিমা’কবিতাটি প্রকাশিত হয় এবং এর মাধ্যমে আধুনিক বাংলা কবিতার অঙ্গণে তার যাত্রা শুরু। এরপর একে একে পাঠকদের এমন সব নতুন নতুন কবিতা উপহার দেন যা এর আগে বাংলার কোনও কবির লেখায় ফুটে ওঠেনি। কবির জীবদ্দশায় ৭টি কাব্যগন্থ্য বের হয়েছিল-ঝড়া পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, বনলতা সেন (সিগনেট প্রেস সংস্করণ) ও জীবনান্দ দাসের শ্রেষ্ঠ কবিতা। ‘বনলতা সেন’র সিগনেট সংস্করণের প্রচ্ছদ করেছিলেন স্বয়ং সত্যজিৎ রায় যার মূল্য দুই টাকা। কবির জীবিতকালে এটিই ‘বনলতা সেন’-এর সর্বশেষ সংস্করণ।

ওই সাত কাব্যগ্রন্থে মাত্র ১৬২টি কবিতা ছিল, অথচ তার কবিতার সংখ্যা সাড়ে আটশোর বেশি। এমনকি রূপসী বাংলার পাণ্ডুলিপি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করার পরও সেটি প্রকাশের উদ্যোগ নেননি কবি। তার মৃত্যুর পর তোরঙ্গ থেকে এটি উদ্ধার করা হয়। তিনি এ কাব্যগ্রন্থটির নাম দিয়েছিলেন ‘বাংলার ত্রস্ত নীলিমা’ যা পরে  প্রকাশিত হয়‘রূপসী বাংলা’ শিরোনামে। আরেকটি পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়, মৃত্যু পরবর্তীকালে যা বেলা অবেলা কালবেলা নামে বের হয়। নিজের লেখা কবিতা নিয়ে কখনই পুরোপুরি সন্তুষ্টি ছিলেন না খুঁতখুঁতে স্বভাবের কবি। এ কারণে বার বার কবিতা মার্জনা ও পুনমার্জনা করেছেন কবি।

জীবনানন্দ দাশকে কবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার পিছনে বাংলার যে দুই কবি ও সমালোচক অবদান সবচেয়ে বেশি তারা হলেন বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-৭৪)  ও সঞ্জয় ভট্টাচায (১৯০৯-৭৪)। বলতে গেলে তাদের প্রশ্রয়েই আধুনিক কবিতা লেখার সাহস এবং কবি হিসাবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন জীবনানন্দ দাশ। তাই বলে তার কবিতার সমালোচনা যে ছিল না-তা কিন্তু নয়। সাতটি তারার তিমির প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুবোর্ধ্যতার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কবি বেশ মানসিক কষ্টে ছিলেন। জানা যায়, তিনি নিজের খরচেই কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন, যদিও শেষাবধি তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

জীবনানন্দ দাশের কথাসাহিত্য
জীবনানন্দ দাশ সব মিলিয়ে ২১ টি উপন্যাস ও শতাধিক ছোটগল্প লিখলেও জীবদ্দশায় এর একটিও প্রকাশ করতে দেননি। তাই কথাসাহিত্যিক হিসাবে জীবনানন্দের কোনোও পরিচিতি তখন দাঁড়ায়নি। তার মৃত্যুর পর উপন্যাস-গল্পের পাণ্ডুলিপির খাতাগুলো আবিষ্কৃত হয়। কবিতায় যেমনি, কথাসাহিত্যেও তিনি তার পূর্বসূরীদের থেকে আলাদা, তার সমসাময়িকদের থেকেও তিনি সম্পূর্ণ আলাদা। তার গল্প-উপন্যাসে আত্মজৈবনিক উপাদানের ভিত লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তাই বলে এই রচনাগুলো আত্মজৈবনিক নয়।

তার মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় প্রথম সংকলন জীবনানন্দ দাশের গল্প (১৯৭২) ও জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ গল্প (১৯৮৯)। এছাড়া প্রকাশিত ১৪টি উপন্যাসের মধ্যে মাল্যবান (১৯৭৩), সুতীর্থ (১৯৭৭) ও  চারজন উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া সাহিত্যের অধ্যাপক কবি জীবনানন্দ দাশ বেশ কিছু মৌলিক প্রবন্ধ ও নিবন্ধ রচনা করেছেন  যেগুলোর বেশ কিছু তার জীবদ্দশাতেই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। তার মৃত্যুর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫৫ সালে কবিতা বিষয়ক প্রবন্ধগুলো নিয়ে  প্রকাশিত হয় ‘কবিতার কথা’গ্রন্থটি। এরপর দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পর সর্বপ্রথম জীবনানন্দের প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত সবগুলো প্রবন্ধ এক মলাটে আবদ্ধ করে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ সমগ্র (১৯৯০ সালে)। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জীবনানন্দ দাশের জন্ম শতবর্ষে আরো কিছু প্রবন্ধ-নিবন্ধ আবিষ্কৃত হলে প্রকাশিত হয় জীবনানন্দ দাশের অগ্রন্থিত প্রবন্ধ সমগ্র।

 ইংরেজিতে তার ওপর লিখেছেন ক্লিনটন বি সিলি, আ পোয়েট আপার্ট নামের একটি গ্রন্থে। ইংরেজি ছাড়াও ফরাসিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় ভাষায় তার কবিতা অনূদিত হয়েছে।

স্বীকৃতি ও সমালোচনা
জীবদ্দশায় অসাধারণ কবি হিসেবে পরিচিতি পেলেও খ্যাতিমান হয়ে উঠতে পারেননি। তবে মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তিনি বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতার পথিকৃতদের একজন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। জীবনানন্দ দাশের জীবন এবং কবিতার উপর প্রচুর গ্রন্থ লেখা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে, বাংলা ভাষায়। তাকে নানা পদবিতে ভূষিত করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। কারো কাছে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’, বুদ্ধদেব বসু তাকে আখ্যায়িত করেছেন 'নির্জনতম কবি' এবং লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় সম্বোধন করেছেন ‘শুদ্ধতম কবি’ হিসাবে।

পুরস্কার ও সম্মাননা
বেঁচে থাকতে কবি হিসাবে খুব বেশি পুরস্কার পাননি এই কবি। বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থটির জন্য নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত (১৯৫৩ সাল) করা হয়  জীবনানন্দ দাসকে। কবির মৃত্যুর পর ১৯৫৫ সালে জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৫৪) গ্রন্থটির জন্য তাকে মরণোত্তর সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রদান করা হয়। যদিও এসব পুরস্কার তার সাহিত্যকর্মের বিপুলতার তুলনায় খুবই নগণ্য। কেননা তিনি তো ইতিমধ্যে বাংলা ভাষার ‘শ্রেষ্ঠ কবিবর’য়ের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তাই এসব পুরস্কারে কিবা যায় আসে তার!

ব্যক্তিগত জীবন
জীবনানন্দ দাশ ১৯৩০ সালের ৯ মে ঢাকার ব্রাক্ষ্মসমাজ মন্দিরে রোহিণীকুমার গুপ্তের কন্যা লাবণ্য গুপ্তকে বিয়ে করেন। তার মেয়ের নাম মঞ্জুশ্রী দাশ এবং ছেলে সমরানন্দ দাশ। ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী ও পরিচালক অভিনয়শিল্পী অপর্ণা সেন সম্পর্কে তার ভাগ্নি। অপর্ণার মা সুপ্রিয়া দাশগুপ্ত ছিলেন সম্পর্কে খুড়তুতো বোন।

একটি তারার পতন
১৯৫৪ সালের ১৪ অক্টোবর কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন কবি। ট্রামের ক্যাচারে আটকে তার শরীর দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ অবস্থায় কলকাতার এক হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর মাত্র ৫৫ বছর বয়সে মারা যান জীবনানন্দ দাশ। দিনটি ছিল ১৯৫৪ সালের ২২অক্টোবর, রাত ১১ টা ৩৫ মিনিট।

আজ এই মহান কবির ১২৩তম জন্মদিবসে ওমেন্স নিউজের পক্ষ থেকে জানাই অশেষ শ্রদ্ধা ও অভিবাদন। শুভ জন্মদিন বাংলার শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিক জীবনানন্দ দাশ। যতদিন বাংলা ভাষার অস্তিত্ব বজায় থাকবে ততদিন বেঁচে থাকবেন ‘রূপসী বাংলার’ এই কবি।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/