বনের ওপর নির্ভরশীল লোকদের বিকল্প কর্মসংস্থান করতে হবে: পরিবেশ ও বনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘বন ও বন্যপ্রাণীতে আমাদের দেশ সমৃদ্ধ। এটা ধরে রাখতে হবে। টেকসই বন করতে হলে বনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বনের ওপর নির্ভরশীল লোকদের বিকল্প কর্মসংস্থান করতে হবে'। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বন অধিদপ্তর এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘টেকসই বন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে আগারগাঁওয়ের বন ভবনের হৈমন্তী মিলনায়তনে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিক আহাম্মদ এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড. মিহির কান্তি মজুমদার, ড. আনোয়ার হোসেন,  ড. ইসতিয়াক  সোবহান, ড. মনোয়ার হোসেন, ড. জসিম উদ্দিন ও জাহিদুল কবিরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবেশ ভাবনা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর ৫০ বছরের বন সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেন উপ প্রধান বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান মুকুল। দেখানো হয় প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বন ভবনের সামনে শতাধিক টিয়া ও মুনিয়া অবমুক্ত করা হয় ।

আহবায়কের বক্তব্যে প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে গিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে বনে, জলাশয়ে। ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্ভব নয়। এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। আমাদের ক্ষমতা ও মমতা দিয়ে টেকসই বন গড়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. এ. কে. এম. রফিক আহাম্মদ বলেন, জনসচেতনতাই প্রকৃতি সংরক্ষণের বড় নিয়ামক। জনগণকে সাথে নিয়ে আমাদের বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে হবে।

সভাপতির সমাপণী বক্তব্যে মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, টেকসই বনের বিকল্প নেই। ঘনবসতির এই দেশে টেকসই বন করতে আমরা সব ব্যবস্থা করছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমরা বদ্ধ পরিকর।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/