আফগানিস্তানে বন্দুক হামলায় ১০ মাইন অপসারণ কর্মী নিহত

আফগানিস্তানে বন্দুক হামলায় আহতদের কয়েকজন

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় বাগলান প্রদেশে মঙ্গলবার রাতে এক বিদেশি মাইন অপসারণ সংস্থার কম্পাউন্ডে হামলা চালায় মুখোশ পরিহিত বন্ধুকধারীরা। তাদের হামলায় ওই সংস্থার কমপক্ষে ১০ কর্মী নিহত এবং আরও ১৬ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুন) রাতে বাগলান প্রদেশের স্থলমাইন অপসারণ সংস্থা ‘হ্যালো’র একটি ক্যাম্পে হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলার সময় ওই ক্যাম্পে ১১০ জন শ্রমিক অবস্থান করছিল। হামলার পর তাদের বেশিরভাগ আশপাশের গ্রামগুলিতে পালিয়ে গেছে। তাদের খুঁজে বের করে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রধান নির্বাহী জেমস কাউন সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে জানান, বন্দুকধারীরা একটি বিশেষ গোত্রের লোকদের খুঁজে বের করতে ওই হামলা চালিয়েছিল।

বুধবার রাতে সাইট নামের একটি গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপ জানায়, সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী আইআইএল ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে এর আগে মঙ্গলবারের ওই হামলার জন্য তালেবান গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিলো আফগান সরকার।

তবে অপসারণ সংস্থা হ্যালো জানায়, বরং হামলার শেষের দিকে তালেবানরা তাদের সহায়তা করেছে।  এ সম্পর্কে সংস্থার প্রধান নির্বাহী জেমস কাউন বলেন-‘ স্থানীয় তালেবানরা আসলে আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল। আর তারা এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে। তাই আমার মনে হয় অন্য কোনও গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে।’

হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক কর্মী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানায়, পাঁচ থেকে ছয়জন সশস্ত্র ব্যক্তি কম্পাউন্ডের প্রাচীরগুলো ঘিরে ফেলে। এরপর তারা এখানে হাজরা সম্প্রদায়ের কেউ আছে কিনা তা জানতে চায়।

ওই ব্যক্তি আর জানান, “আমরা কেউ তাদের প্রশ্নের উত্তর না দেয়ায় তারা কম্পাউন্ডের দলনেতার পরিচয় জানতে চায়। এরপর তারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর হামলাকারীদের একজন বলে- ‘এদের সবাইকে হত্যা কর।’ এরপর তারা গুলি করতে শুরু করে। এতে কেউ কেউ নিহত হয়, আবার আমার মতো কেউ কেউ আহত হয়েছে।”

শিয়া হাজরা সম্প্রদায় আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু গোষ্ঠী যারা দেশটির মোট ৩ কোটি জনসংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ। তাদের লক্ষ্য করে প্রায়ই সশস্ত্র হামলা চালিয়ে থাকে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএল।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/