যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়া-ভারতকে পিছনে ফেলে মাতৃদুগ্ধ পানে শীর্ষে বাংলাদেশ

প্রতীকী ছবি

শিশুদের বুকের দুধ পান করানোয় মায়েদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে বিশ্বের ৯৮টি দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৩ আগস্ট) ওয়ার্ল্ড ব্রেস্টফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ (ডব্লিউবিটিআই) কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।  

 ডব্লিউবিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৯১ দশমিক ৫ স্কোর পাওয়া বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে ‘সবুজ জাতির’ মর্যাদা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পরেই ৯১ স্কোর নিয়ে শ্রীলঙ্কা আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।  

ডব্লিউবিটিআই ১০টি সূচক ও কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে দেশগুলোকে লাল, হলুদ, নীল ও সবুজ রঙের মর্যাদা দেয়। ডব্লিউবিটিআইয়ের বৈশ্বিক সমন্বয়ক অরুণ গুপ্তা বলেছেন, বাংলাদেশের এ অর্জন ২০০৫ সাল থেকে প্রচেষ্টার ফসল। এ অর্জন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির প্রতি সরকারের উচ্চমাত্রার অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

নবজাতক ও ছোট শিশুর খাবার বা ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়াং চাইল্ড ফিডিং (আইওয়াইসিএফ) বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ৯১ দশমিক ৫ স্কোর অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে এ স্কোর ছিল ৮৬।

ডব্লিউবিটিআই জানিয়েছে, নীতিমালা ও কর্মসূচির সূচকে বাংলাদেশ জাতীয় নীতি, কর্মসূচি ও সমন্বয়ে ৭, শিশুবান্ধব হাসপাতালের উদ্যোগে ৮, আন্তর্জাতিক কোড বাস্তবায়নে ৯, মাতৃত্ব সুরক্ষায় ৮ দশমিক ৫, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি যত্নের পদ্ধতিতে ৯, মায়েদের সহায়তা এবং কমিউনিটি সম্পৃক্ততায় ১০, তথ্য সহায়তায় ১০, নবজাতককে খাওয়ানো ও এইচআইভিতে ১০, জরুরি অবস্থায় নবজাতককে খাওয়ানোয় ১০ এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নে ১০ পেয়েছে।

এ ছাড়া চর্চার সূচকে জন্মের পরপর বুকের দুধ খাওয়ানোয় বাংলাদেশের স্কোর ৬৯ এবং একাধারে প্রথম ছয় মাসে বুকের দুধ খাওয়ানোয় ৬৫ পেয়েছে বাংলাদেশ।

১৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে লিবিয়া। প্রতিবেশী দেশ ভারতের অবস্থান ৭৯তম, তাদের স্কোর ৪৫। এ ছাড়া ৪০ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আছে ৮৬তম অবস্থানে। যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৬৫তম, তাদের স্কোর ৫০ দশমিক ৫। ৩৩ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে জার্মানি রয়েছে ৯৫তম স্থানে। অন্যদিকে ২৫ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া  অবস্থান করছে তালিকার ৯৬তে।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/