গল্পের শেষ পাতা
শুরুটাই এখনো লেখা হল না
কীভাবে যে শেষের পাতায়
গল্পের শেষটা সাজাই।
এইযে প্রথম পাতা কথা কারুকাজ
বিরামহীন ছন্দকলা অক্ষর বুনন,
এ এক অনাহুত, নিয়তি তাড়িত
বেভুল বালিকার ভুলের বসত।
শূন্যতার নীল জলে মানচিত্র এঁকে
জটাজাল, জটের কঠিন শিকড়ে
ঝুলে থাকে সেই মেয়ে যেন কত যুগ
অযুত নিযুত দিন শতাব্দী ধরে।
শুরু হয় জীবনের কষ্ট কাহন
ক্ষরা ও চৈত্রের অমসৃণ দিন,
তারপর ক্রমাগত ভাঙচুর স্বপ্ন
শুরুটাই যেখানে শেষের ছিল।
অতঃপর ক্ষণিক বিরতি–
গল্পে ফিরে যাই পেছন পথে
হিজলের ফুল আর জলকাটালে,
শীতল স্রোত নিয়ে মনুদের খাল
কবে যে উধাও হল, কোন সুদূরে।
নবনীতা গল্পের এই যে মেয়ে
ভুলে ছিল, দূরে ছিল বহুকাল,
যেন পঞ্চবটী বনে বসবাস চক্র।
ধোঁয়াশা কুয়াশা ঘোর মুছে ফেলে
অবশেষে সেই মেয়ে এলোই ফিরে
গল্পের শেষের পাতায়।
কবি পরিচিতি: সুরাইয়া চৌধুরী কবিতা লিখছেন ষাটের দশক থেকে। ইতিমধ্যে তার পাঁচটি কাব্যগ্রন্থ ও দুটি শিশুতোষ ছড়ার বই প্রকাশিত হয়েছে। এবারের একুশে গ্রন্থমেলাতেও তার রক্ত ফুল, শিলায় জ্বলবে আলো এবং প্রত্ন নগরে যাব শিরোনামে ৩টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। পেশাজীবনে তিনি একজন শিক্ষক। শিক্ষকতা করেছেন ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ দেশের শীর্ষ স্থানীয়েএকাধিক স্কুলে। বর্তমানে অবসর জীবনে লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত আছেন।
ওমেন্স নিউজ সাহিত্য/