চলে গেলেন চিরসবুজ কবি ফরিদা মজিদ

কবি ফরিদা মজিদ

কবি, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক ফরিদা মজিদ আর নেই। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি কবি গোলাম মোস্তফার নাতনি।

ফরিদা মজিদের স্নেহভাজন কবি সতীর্থ সঞ্জীব পুরোহিত জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ। তার খাদ্যনালীতে ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং এর চিকিৎসা চলছিলো। গত সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।

ফরিদা মজিদের জন্ম ১৯৪২ সালের ২৭ জুলাই কলকাতায়। তিনি কবি গোলাম মোস্তফার বড় মেয়ে জোছনার কন্যা। কবি গোলাম মোস্তফার সান্নিধ্যেই তার কবি সত্ত্বা গড়ে উঠে।

ছেলেবেলাতেই তার লেখালেখি শুরু। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার অসংখ্য লেখা প্রকাশিত হলেও সারাজীবনে তার একটিমাত্র কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘গাঁদা ফুলের প্রয়াণ ও যারা বেঁচে থাকবে’ শিরোনামের কবিতার বইটি দিয়েই তিনি কবি হিসেবে পরিচিত।

কবি দীর্ঘকাল প্রবাসজীবন কাটিয়েছেন। প্রথমে লন্ডনে, পরে নিউ ইয়র্কে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি লন্ডনে বসে দেশের বড় বড় কবি-সাহিত্যিকদের লেখা অনুবাদ, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজ করেন। পরে তিনি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে অধ্যাপনা করেন ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৯১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইংরেজির লেকচারার হিসেবে ছিলেন নিউইয়র্কের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০৬ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ঢাকায় তিনি কবি গোলাম মোস্তফার বাড়িতেই একাকী বসবাস করতেন।

সাহিত্য জগতের অনেকের কাছে চিরসবুজ কবি হিসাবে পরিচিত ছিলেন তিনি। কেননা তার মধ্যে একটা শিশুসুলভ ব্যাপার ছিলো যা তাকে সবসময় সতেজ করে রাখতো। এ কারণেই এতটা বয়স হওয়ার পরও বার্ধক্য তাকে ছুঁতে পারেনি। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/