‘আমার বাবা-মা যেনো থাকেন আমাদের সাথে’

সুলতানা রিজিয়া

সুলতানা রিজিয়া

আঞ্চলিক একটা গানের কলি মনের মাঝে প্রায়ই গুঞ্জরিত হয়-
‘নাতি খাতি বেলা গেলো
শুতি পারলাম না—’

কখনোবা সুর ওঠে-
‘আমার বেলা যে যায় সাঁঝবেলাতে
তোমার সুরে সুরে সুর মেলাতে
আমার বেলা যে যায়…’

আমরা এখন সাঁঝ বেলার ছায়ামাখা আঁধার পেরিয়ে রাতের করোতলে আশ্রিত। চারপাশে শুনশান নিরবতা। কেউই নেই পাশে। সময়ের দুরন্ত ঘোড়ায় সকলেই ছুটছে যার যার কর্ম নিয়ে। ঠাঁই নাই ঠাঁই নাইয়ের মতো সময় নাই সময় নাই এর অজুহাতে আমরা কেবলই ঘোরলাগা স্তব্ধতায় একঠাঁই স্থিতু হয়ে আছি। ফলে দিনে দিনে বাড়ির চৌহদ্দি পেরুনোর শারীরির শক্তি বা মানসিক সাহস কখন যে খুইয়ে ফেলেছি মনে পড়ে না। মনে পড়ে না আঁচলের চাবির গোছাটা কবে কীভাবে গিঁট্টু ছাড়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট, প্রতিভার মেডেল, ক্রেস্ট, দেয়ালজুড়ে বাঁধানো ছবির বাহার কবে যে স্টোরেজ হলো মনেও পড়ে না!
সেই মেয়েবেলা পেরোতে না পেরোতে " তুমি আমি দু'জন প্রিয় " এর নৃত্য- গীতে অষ্টপ্রহর ব্যস্ততা, সন্তানদের পবিত্র সারল্যমাখা চাঁদমুখ, মাস খরচের খেরোখাতা, সঞ্চয়ের মুষ্টিচাল, চিনি, তেলের গোপন খোপ, সেলাইমেশিন, উলকাঁটা, ব্যাঙ্ক বীমার সই-স্বাক্ষর, বোনাসের আনন্দ, এখন স্বপ্নের অধিকই মনে হয়। নিজের সাম্রাজ্যের গণ্ডি ছোট হতে হতে এতোই ছোট্ট হয়েছে যে আর কিছু খুঁজে দেখার তেমন প্রয়োজনও পড়েনা। শোবার বিছানা, লাগোয়া পোষাকের ক্লোজেট বা আলমারি, পড়ার টেবিল, ইবাদতের সমঞ্জাম, হাঁটা চলার লাঠি বা ক্রাচ অথবা হুইল চেয়ার এবং একঝুড়ি ওষুধপথ্য। ব্যাস, সারা জীবনের অবশিষ্ট সম্পদ!

সেই দুর্দান্ত ঝঞ্ঝাময় সংসার তরণী আমাদেরকে  টা টা জানিয়ে অজানা গন্তব্যে হারিয়ে গিয়েছে। এখন নৌকার সেই মাঝি নেই, মাল্লারাও নেই। একাকী পাড়ঘাটে পড়ে থাকার মতোই আমরা অসহায় এবং নিঃস্ব! আফসোস কিংবা দুঃখ করার অবকাশ বা সেই সাথীরাও আজ নেই। বয়সী রেখায় আমরা চলন্ত গুটির মতো যার যার মৃত্যুর গন্তব্যে এগুচ্ছি। পথ চলতে চলতেই অকস্মাৎ হারিয়ে যাচ্ছি! আচম্বিত, চকিতে দপ্ করে নিভে যাওয়ার মতো। চলতি পথের বাঁকে বাঁকে কত প্রিয়মুখ, প্রিয়জন শিউলি – বকুল ফুলের মতো চারপাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পড়েছে, খালি হয়ে গিয়েছে স্মৃতিময় ভুবনের জৌলুস! অলঙ্ঘনীয় এই যাত্রার রেশটুকু বাসি হতেও সময় লাগে না! কে গেলো, কে রইলো এখন আর তেমন করে কেউই মনে করে না। মনে করার সেই তাগিদটুকুও ব্যস্ততার নিষ্পেষণে মন থেকে হারিয়ে গিয়েছে।

আসা যাওয়ার ভূবন জুড়ে মিথ্যা মরিচিকার আবাদ করতে করতে আমাদের নিজস্বতা হারিয়ে ফেলেছি। ফলে নিজের পছন্দ – অপছন্দ, ভালোলাগা- না লাগা কিংবা সংসারের অংশীদারিত্বে টু শব্দটি উচ্চাণেও বিস্তর বিধিনিষেধ!

বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনতা, কর্মময় জীবন যাপনের ধারাবাহিতা ( লাইফস্টাইল )  উন্নতমানের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এবং আল্লাহর মর্জিতে মানুষের গড়আয়ু বেড়েছে। ফলশ্রুতিতে বেড়েছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা। পাশাপাশি আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার দ্বারস্থ হওয়ায় একান্নবর্তী পরিবারের অনুশাসন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়েছে। আধুনিকমনষ্ক শিক্ষিত পরিবারগুলোতেই এই ভাঙ্গনের চিত্র যত্রতত্র চোখে পড়ছে। কম বেশি সকলের সংসারে সনাতন সেই যৌথ পরিবারের সংস্কার, আদব, কায়দা, পারস্পরিক স্নেহ মায়া মমতায় ভাটা পড়েছে। বাড়ির বয়সী মুরব্বী বয়ঃজেষ্ঠ্যদের প্রতি উদাসীনতা, অবহেলা, উপেক্ষা, অকর্মণ্য প্রতিপন্ন করার প্রবনতা বেড়েছে। শুরু হয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের মাঝে মানসিক ও অধিকারের টানাপোড়েন। প্রথমটি আর্থিক, শারীরিক কর্মশক্তি হারিয়ে অসহায়, তৃতীয়টি অবুঝ, শিশু কিশোর, ধর্তব্যের বাইরে। ফলে দ্বিতীয় প্রজন্ম অর্থাৎ ছেলে বা ছেলের বৌ এর রাজত্বই বজায় থাকছে। নেটওয়ার্ক দুনিয়ার ব্যস্ততম নাতি, নাতনিরা শুধু দেখেই যায়, তাদের বোধে আসেনা দাদ দাদীর কষ্টের উৎস কোথায়? এরা জন্মের পর থেকেই স্মার্ট দুনিয়ার পুতুলে পরিনত হয়। খেতে, ঘুমাতে এরা বাবা মার মোবাইল বা নিজস্ব ট্যাবের রঙিন জগতের মনোহরণ যাদুতে মোহাবিষ্টে অভ্যস্থ হয়ে ওঠে। কী নেই তাতে! কার্টুন, হাসি ঠাট্টা, বাদ্য বাজনা, এনিমেশন মুভির মন ভোলানো গল্পের সাথে সর্বাধুনিক কলাকৌশলের কারিশমায় তারা বুঁদ হয়ে থাকে। তাই দাদা, দাদীর মুখের ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীর গল্প, সুর তাল লয়হীন গান তাদের আকৃষ্ট করতে পারে না। ছেলে, ছেলের বৌ খুব কায়দা করেই তাদের সন্তানদের বড় করে। ফলে দাদা, দাদীর সাথে তৈরী হয় দূরত্ব। এখনতো অনলাইলে পড়ার তাগিদে নাতী নাতনীদের মন থেকে মুছে যাচ্ছে রক্তের টান, একই সাথে দাদা দাদীরাও তাদের অসহায়ত্বের কষাঘাতে হারিয়ে ফেলছেন প্রাণভ্রমরার কৌটা।

আমরা সারা জীবন আমার আমার করেই শেষ হলাম। আমার ছেলে, আমার মেয়ে, আমার বাড়ি, আমার গাড়ি, এটা, সেটা— আরো কত্ত! এই আমাকে সাজাতে গিয়ে, গড়তে গিয়ে, বিস্তার লাভ করতে গিয়ে কতশত বাঁকা বা পথের সন্ধিসলুক করতে হয়, সেটা কেউ না বুঝুক ব্যক্তিবিশেষ ঠিকই বুঝেন। একান্নবর্তী পরিবারেও কমবেশি পক্ষপাতিত্বের চর্চা ছিলো, এখনো আছে। মানুষমাত্র (মুণি ঋষি বাদে ) জন্মগতভাবেই স্বার্থপর। সন্তানদের জন্য, স্বামী – স্ত্রী – সংসারের জন্য আমরা আজীবন লড়াই করি। একই সাথে অমুক, তমুকের চেয়ে এগিয়ে থাকতে (সর্বক্ষেত্রেই ) বিবেকের ঘরে সিঁদ কাটি। একান্নবর্তী পরিবারে মূল স্বার্থটা ছিলো নিজ নিজ পুত্র সন্তানদের ভালো এবং দামি স্কুলে পড়ানোর। পরবর্তিতে নামকরা টিউটরের কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার, অতঃপর প্রয়োজনে হোস্টলে বা কারো বাড়িতে (আত্মীয়, পরিচিতিজনদের ) পাঠানোর। সেইসময় শ্বশুর শাশুড়ি, দেওর, ননদের মধ্যে এক হাঁড়িতে খেয়ে, এক উঠানে বসবাস করে বাড়ি থেকে সন্তানদের লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে বাহির করাটা ছিলো যুদ্ধের অধিক। সেই যুদ্ধে জয়লাভের ফলশ্রুতিতেই একান্নবর্তী পরিবারের টুকরো হওয়ার সূত্রপাত। তৎকালীন শিক্ষার চাহিদা ও উন্নত জীবনের জন্য আমাদের যুদ্ধটা শুরু হয়েছিলো, কালের পরিক্রমায় আধুনিকতার নামে, অর্থবিত্তের নেশায় আজকের এই রূপে উপনীত হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে দু 'একজন বয়স্করা ছাড়া আর কেউ নেই বললেই চলে। এখনতো (নব্বুই ভাগ) শহুরে মানুষদের দেশগ্রামে ভিটিমাটির অবশিষ্ট নেই, শেকড়ের সাথেও নেই সংযোগ।
আমরা শহুরে কেতাদুরস্ত মানুষ হওয়ার লড়াইয়ে একদা নাস্তানাবুদ হয়েছি। খেয়ে না খেয়ে ওভারটাইম পরিশ্রমে শরীর পাত করেছি। তখনকার সময়ে গণ্ডা গণ্ডা সন্তান মানুষ করাটা হাতের মোয়া ছিলো না। তারপরও আমরা মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্তের কাতারে ভালোই ছিলাম। দশ বারোজন ভাইবোন একসাথে এক বাড়িতে বড় হয়েছি, মানুষ হয়েছি। অভাবের মাঝেও আমাদের মনে শান্তি ছিলো, সৌহার্দ ছিলো, আনন্দ ছিলো। পারিবারিক প্রাচুর্যের লক্ষ্যে, দেশ ও জাতির কল্যাণে পরিবারের আকার ছোট হতে হতে দুই তিনজনকে নিয়ে ছোট পরিবার শুরু হলো। পরিবার ছোট হলো ঠিকই অথচ হারিয়ে গেলো সুখ- শান্তি, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, আনন্দের উৎস। তথাকথিত  একক সংসারে জেঁকে বসলো স্বার্থপরতা এবং অসততা। এইসব ছোট পরিবারে নাতি নাতনি আসতে না আসতেই প্রায় নিঃস্ব ( আর্থিক ও শারীরিক ), পিতামাতাকে সাংসারিক আমূল পরিবর্তনের সন্মুখীন হতে হচ্ছে। সন্তানদের সংসারে (দেশে বা বিদেশে) পিতামাতার এতোদিনের সংসার গুটিয়ে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে। তখনও বিস্তর মানসিক যুদ্ধের ঘেরাটোপ কাটিয়ে তারা যুক্ত হচ্ছেন। একা হলে একধরনের যুদ্ধ,  দু'জনে থাকলে যুদ্ধটা অন্যরূপ নিচ্ছে। সন্তানদের সংসারে হাতেতোলা খাবার সবসময় সুখকর নাও হতে পারে ( ব্যতিক্রম ব্যতীত )। আর তখনই কষ্টের পোকারা মাথা তোলে। শুরু হয় অন্যরকম যুদ্ধ।

মানুষ আজন্মকাল স্বাধীনচেতা। সামর্থ অসামর্থের অজুহাতে তারা স্বাধীনতাকে মন থেকে ছেঁটে ফেলতে পারে না। কোনও পক্ষই দীর্ঘদিন মনের সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে পারে না। বিশেষ করে রক্তসম্পর্কীয়দের সাথে। এমন তিক্ত পরিস্থিতিতে কোনও এক পক্ষকে ছাড় দিতেই হয়। এই ছাড় দেয়ার দায়িত্ব পড়ে বয়স্কদের ঘাড়ে। ফলে তারা বাধ্য হন শান্তির চেয়ে স্বস্তিকে বেছে নিতে। হেলা অবহেলার নিগড় ছেড়ে অনেকটা কপর্দকহীন অবস্থায় আশ্রয় নেন বয়ষ্ক আশ্রমে। সোজাসাপটা বলা যায় বৃদ্ধাশ্রমে। যেখানে সমবয়স্ক নারী পুরুষরা স্বস্তির আশায় বসবাস করেন। পিতামাতার সন্তানদের সংসার থেকে বিদায়ের বিয়োগান্ত রোদন বড়ই মর্মান্তিক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্তানদের কাঁধেই দায়িত্ব পড়ে পিতা মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছে দেয়ার। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই কম বেশি গড়ে উঠেছে এমন সব পিতামাতাদের বৃদ্ধনিবাস, বৃদ্ধাশ্রম বা হোম। সরকারি বা বেসরকারিভাবে পরিচালিত এইসব হোমের সুযোগ সুবিধা নির্ভর করে সেই দেশের আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উপর।

উন্নত বিশ্বে পারিবারিক বৈশিষ্ট্যই হলো সন্তানদের সাবালকত্বের পর পৃথক হয়ে যাওয়া। প্রাশ্চাত্যের এই রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। তাদের এই পৃথক হয়ে যাওয়ার অর্থ সন্তানদের ব্যক্তিজীবনে স্বনির্ভর হওয়া, নিজেদের মতো করে সুখী জীবন শুরু করা। ফলে শেকড়ের সাথে সন্তানদের সুসম্পর্ক বজায়ের পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসার গ্রন্থিও অটুট থাকে। এখানে পিতামাতারা গৃহছাড়া হন না। তারা তাদের শেষ জীবন পর্যন্ত নিজেদের মতো করে আপন সংসারেই বাঁচেন। সরকারই এদেশের সিনিয়র সিটিজেনদের যত্নআত্তির দায়ভার পালন করে। তাদের জন্য সেবক বা সেবিকার নিয়োগ দেয়া থেকে প্রয়োজনে আবাসনের ব্যবস্থাও যথাযথভাবে করা হয়। চিকিৎসা সেবা সিনিয়রদের জন্য উন্মুক্ত। হাসপাতাল থেকে গৃহাভ্যন্তরে। এতোসব সুবিধার পরও তারা নিয়মিত বিশেষ ভাতা (সম্মানজনকভাবে) পেয়ে থাকেন। ফলে এসব দেশে বয়স্করা সন্তানদের গলগ্রহ না হয়ে আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করেই বাঁচেন।

আমরা আমাদের বয়ে যাওয়া বয়স আর ক্ষয়ে যাওয়া শরীরের কথা চিন্তা করে কমবেশি সকলেই কবে, কখন, কোন ঘাটে মাঝির হাঁক শুনবো সেই অপেক্ষায় দিন গুনছি। আমরা যারা পরিবারের মাঝে আছি তাদের মৃত্যুর প্রতিক্ষার সময়গুলো বৃদ্ধাশ্রমের মানুষগুলোর মতো নয়। তারা নিতান্ত এবং নিদারুণ আর্থিক, শারীরিক ও সামাজিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত এবং অনিশ্চয়তায় ভোগেন। বৃদ্ধাশ্রমগুলোর প্রশাসনিক অনিয়ম, অবহেলা তদুপরি পারস্পরিক দ্বিধাদ্বন্দ্বের ( প্যানেল, ভোট, পদে থাকা ) কোন্দল নিবাসীদের উপর প্রভাব পড়ে। বৃদ্ধাশ্রমে থাকার যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ( কাগজ পত্রের ) ব্যাহত হয়। তাদের বেঁচে থাকার আশা, আকাঙ্খায় কুঠারাঘাত পড়ে। তারা অভিভাবকহীনতায় অনিশ্চত জীবনে নিপতিত হন। সরকারি, বেসরকারি এইসব বয়স্ক প্রতিষ্ঠাগুলোর প্রতি কমিউনিটির, সমাজিক গোষ্ঠীর এবং রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো জরুরি। কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের কবিতার ‘আমার সন্তান যেনো থাকে দুধে ভাতে’ এই বাক্যটি এখন উল্টিয়ে বলা জরুরি ‘আমার বাবা-মা যেনো থাকেন আমাদের সাথে’।

সুলতানা রিজিয়া: কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সংগঠক ও প্রকাশক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নন্দিনী নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করছেন। এছাড়া তার রয়েছে প্রকাশনা হাউস সম্রাজ্ঞী। তার প্রকাশিত একক গ্রন্থের সংখ্যা ২৭ টি। সাহিত্য ও সাংগঠনিক অবদানের জন্য পেয়েছেন ত্রিশটির বেশি সম্মাননা ও পদক।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/