শুভ জন্মদিন কবিতার কিষান রমজান বিন মোজাম্মেল

কবি রমজান বিন মোজাম্মেল

শুরুটা কি দিয়ে হবে এ চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে মাথায়। আজ রমজান বিন মোজাম্মেল এর শুভ জন্মদিন। ও আপনাদের সঙ্গে তো পরিচয়-ই করে দেয়া হয়নি কে এই রমজান বিন মোজাম্মেল? আসলে তার পরিচিতি তুলে ধরতে গেলে চার ফর্মার বই লিখেও শেষ করা সম্ভব না। তিনি একাধারে কবি, সম্পাদক, সংগঠক ও সমাজ সেবক। তার সম্পর্কে এত অল্প সময়ে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব না। কেননা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এক সঙ্গে পথ চলা। তবুও যতোটা সংক্ষেপে সম্ভব লেখার চেষ্টা করছি।

রমজান বিন মোজাম্মেল বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোজাম্মেল হক এবং বেগম মমতাজ হকের প্রথম সন্তান। আমার মনে হয় বীরের রক্ত তার শরীরে প্রবাহমান বলেই স্কুল জীবন থেকেই অন্যায়ের প্রতিবাদে তাকে বারবার জড়াতে দেখেছি। মন ও মননে মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে মজবুত করার দৃঢ় প্রত্যয়ী মনোভাবী ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং স্বাধীন বাংলাকে কলঙ্কিত মুক্ত করতে রাজাকার আলবদরের বিরুদ্ধে যেমন বহু আন্দোলনে সোচ্চার প্রতিবাদী ভূমিকা  রেখেছেন। তেমনি বঙ্গবন্ধুর আর্দশে লালিত স্বদেশ প্রেমিক রমজান বিন মোজাম্মেল ৯০ দশকের ছাত্র রাজনীতির রাজপথ কাঁপানো মুজিব সেনার লড়াকু সৈনিক। ওসমান পরিবারের স্নেহের আস্থা ভাজন এ.কে.এম শামীম ওসমানের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ এই ছাত্র নেতার। সদা মিষ্টভাষী, হাস্যোজ্জ্বল ভদ্র মার্জিত নমনীয় চরিত্রের কারণে নারায়ণগঞ্জবাসী তাকে সম্মান করে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

রমজান বিন মোজাম্মেল ছাত্র জীবন থেকেই সামাজিক বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। তিনি তিলতিল করে  নিজেকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে গড়ে তুলেন।  ক্লাস থ্রীতে পড়াকালীন সময়ে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। এক পর্যায়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি সাহিত্যকে ভালোবাসার চির বন্ধনে বেঁধে ফেলেন।

বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখছি রমজান বিন মোজাম্মেল সাহিত্যে জ্ঞান পরিধি বাড়ানোর জন্য ছুটে চলেছেন দেশের বিভিন্ন সাহিত্য সম্মেলনে। ইতিমধ্যেই তিনটি জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও দেশের বাহিরে অর্জন করছেন সাহিত্য পুরস্কার এবং সাহিত্য সম্মাননা। সাহিত্যকে ভালোবেসে ইতিমধ্যে দেশের সীমানা অতিক্রম করে বেশ কয়েকটি দেশেও ভ্রমন করেছেন কবিতার ঝুঁলি নিয়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশসহ বিশ্বের অনেক সাহিত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছেন। জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জসহ ব্যক্তি পরিচিতি তুলে ধরেছেন দেশ-বিদেশের নানা স্থানে। বরেণ্য লেখকদের সাথে মধুর সখ্যতা গড়ে তুলেছেন। দেশি বিদেশি অনেক কাগজে তার লেখা যত্নের সহিত প্রকাশিত হচ্ছে।

লেখকদের লেখা ও সকল পাঠকদের সাহিত্য ক্ষুধা নিবারনের চিন্তা করেন বলেই হয়তো সরকারি ডিক্লেয়ারেশন প্রাপ্ত পাক্ষিক পুরাতন পাতা পত্রিকাটি নিউজের অধিক সাহিত্যের দখল লক্ষণীয়। মূলত রমজান বিন মোজাম্মেল অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তিনি দেশের শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির বেগবানেই তৃপ্তি পান।

আজ এ মহতি ব্যক্তি, প্রতিভাবান লেখক ও আমাদের বন্ধু কবি রমজান বিন মোজাম্মেলের ৪৬তম শুভ জন্মদিন। সাহিত্যের জমিনে বীজ বপন করে কবিতার ফসল ফলাবেন বলেই হয়তো নারায়নগঞ্জের মাটিতে জন্ম তার। নারায়ণগঞ্জের মাটিতে অনেক প্রয়াত বরেণ্য লেখকের জন্ম। অনেকে এখনো বিদ্যমান। অনেকে চর্চারত অবস্থানে। আমরা আজ সাহিত্যপ্রেমী এ মানুষটিকে পেয়ে সত্যিই গর্ববোধ করি।

বিয়ের পর তাকে সর্বদিক দিয়ে যিনি উৎসাহ যুগিয়েছেন তিনি হলেন সহজ সরল কাদামাটিতে গড়া নরম মনের মানুষ তার সহধর্মিনী হ্যাপী আফরোজ। আজ কবির জন্মদিনে আমার পক্ষ থেকে রইলো একগুচ্ছ লাল গোলাপের শুভেচ্ছাসহ অন্তরের অফুরন্ত ভালোবাসা।

লেখা ও ছবি-শফিকুল ইসলাম আরজু

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/