বিবেক পালের কবিতা ‘সেই মুখ’

বিবেক পাল

সেই মুখ

'দিন শেষে আজান ;
পড়ন্ত রোদ, পরে আদিম অন্ধকার
তারপর আবার সূর্য ,
প্রাচীন অথচ দীপ্ত – '

হৃদয় উচাটন—-

রাজপথ জুড়ে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদী মিছিল
স্লোগানে মুখরিত উত্তাল জনসমুদ্র ,
বাতাস কাঁপে থরথর–
প্রতিবাদী নিঃশ্বাস ঘাড়ে এসে পড়ে, অতীতের মতো!

রাষ্ট্রের পৈশাচিক উল্লাস; জলকামান, টিয়ার গ্যাস-
লাঠি চার্চ সকল কিছু মজুত ,
অতিক্রান্ত হয় একটা দিন
গরাদে বন্দি প্রতিবাদী যৌবন–

মৃত্যু শেষ কথা নয়
বিষণ্ণ সূর্যাস্ত, হৃদপিণ্ডে বৈশাখি ঝড়
নীল আঁধারে, জ্যোৎস্নার সাদা চাদর ,
সন্তান হারা জননীর কান্নার স্বরে বাতাস ভারী !

কালো বোরখার ভিতর থেকে উঠে আসে-
স্লোগান, জনসমুদ্রে; সংযমের বাঁধ ভেঙে
অশান্ত আঁধারে তৃষিত প্রাণ —
জ্যোৎস্নালোকে খোঁজে সেই মুখ!

এখানে শ্লেটরঙা আঁধার নামে ,
রৌদ্রোজ্জ্বল প্রভাত কোন দেশে ??

কবি পরিচিতি: বিবেক পাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা। থাকেন দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়িতে। কবিতার সঙ্গে সখ্যতা তার শৈশব থেকে। বলতে গেলে কবিতা লেখা ও পড়া তার একমাত্র নেশা। তবে প্রচারবিমুখ এই কবি খুব বেশি পত্রিকায় লেখা দেন না। যদিও স্থানীয় কয়েকটি লিটলম্যাগে তার বেশ কিছু কবিতা ছাপা হয়েছে। পেশা জীবনে তিনি একজন ব্যবসায়ী।

ওমেন্স নিউজ/