সকালে নিয়মিত এই ভুলগুলো করছেন কি? তাহলে এখনই বাদ দিন

লাইফস্টাই ফটো

দিবসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় সকাল। সারারাত নিচ্ছিদ্র ঘুমের কারণে এসময় মাথা বেশ ঠাণ্ডা থাকে। তাই চিন্তা ও পরিকল্পনাও করা যায় বেশ গুছিয়ে। তবে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আমরা এমন কিছু ভুল করে ফেলি যাতে সারাটা দিন কাটে বাজে ভাবে। সকালের সময়টা বুঝে শুনে কাটানো উচিত। তাই ঘুম থেকে উঠেই এসব ভুল করা যাবে না কখনই।

প্রথমতঃ ঘড়িতে অ্যালার্ম বাজার সাথে সাথেই চোখ খুলন। অ্যালার্ম বন্ধ করুন। আস্তে ধীরে বিছানা ছাড়ুন। অনেকে অ্যালার্ম বাজার পরও শুয়ে থাকেন কিংবা এটা বন্ধ করে ফের ঘুমানোর চেষ্টা করেন। এতে না হয় ঘুম, না হয় সময় মতো বিছানা ছাড়া। বরং সারাদিনের রুটিন নষ্ট হয়।

দ্বিতীয়তঃ ঘুম ভাঙার পর বিছানা ছেড়ে ওঠে পড়ুন। এরপর দরজা খুলে দিন। জানালার পর্দা সরিয়ে ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দিন। খোলা জানালা দিয়ে বাইরে তাকান, ভোরের স্নিগ্ধ আলো-বাতাসে আপনার মন ফুরফুরে হতে বাধ্য। সকালে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস থাকলে প্রস্তুতি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন।

তৃতীয়তঃ ঘুম ভাঙার পর বেশিক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকবেন না। আবার দ্রুত উঠে এলোমেলোভাবে হাঁটাচলা করারও দরকার নেই। বিছানা ছাড়ুন আস্তেধীরে, কিছুটা সময় নিয়ে।

চতুর্থতঃ অনেকে ঘুম ভাঙার পরপরই বিছানার পাশ থেকে মোবাইলটা তুলে নিয়ে এর স্ক্রিনে চোখ বুলান। এটি করা যাবে না। কেননা এতে করে এমন কিছু বিষয় আপনার সামনে এসে যেতে পারে যাতে সকালের সুন্দর সময়টা তো নষ্ট হয়-ই- গোটা দিনটাও খারাপ যেতে পারে।

পঞ্চমতঃ সকালে দৈনিক পত্রিকাটায় চোখ বুলাতে পারেন। এরপর মনে মনে সারাদিনের রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এতে করে অনেকখানি সময় বেঁচে যাবে। এছাড়া আজকের দিনে  কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে কিনা ডায়রি দেখে সেটাও চেক করে নিতে পারেন।

ষষ্ঠঃ সকালে এককাপ চা কিংবা কপি তো অবশ্যই চাই। চেষ্টা করুন এটা যাতে চিনি ছাড়া হয়। সকাল সকাল অনর্থক এতগুলো চিনি খাওয়ার কোনও দরকার নেই। একই সঙ্গে প্যাকেটজাত জুস খাওয়ার অভ্যাসটাও ছাড়তে হবে। জুস খেতে হলে টাটকা ফল দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বানিয়ে খেয়ে নিন, অবশ্যই চিনি ছাড়া।

সপ্তম:সকালের এই সময়টায় অফিসিয়াল মেইল চেক করা থেকে বিরত থাকুন। ঘণ্টাখানেক পর ধীরে সুস্থে পিসি বা ল্যাপটপে বসতে পারেন।

অষ্টমঃ সকালের এই সময়টাতে মনটাকে ফ্রেস রাখার চেষ্টা করুন। তাই মনের ওপর চাপ পড়তে পারে এমন কিছু কাজ থেকে বিরত থাকুন। এমনকি সেটা যদি বই পড়ার মতো কাজ হয় সেটাও।

নবমঃ সকালে প্রকৃতি শান্ত ও স্থির। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনিও কিছুসময় নীরব থেকে প্রকৃতিকে উপভোগ করুন। অনর্থক চেচেমেচি করে কী লাভ!

দশমঃআপনি নিজে যদি এসব অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানরাও ধীরে ধীরে এই রুটিনে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। সকালে স্কুল বা কলেজে যাওয়ার জন্য তাদের ডেকে ডেকে বাড়ি মাথায় করতে হবে না। কেননা আপনি যা করবেন বা আপনাকে যা যা করতে দেখবে বাচ্চারা কিন্তু সেটাই করে, অন্তত একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত।

লাইফস্টাইল ফটো

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/