নাজমুন নাহার নূপুরের কবিতা ‘রমজানে আরজি’

ছবি-সংগৃহীত

রমজানে আরজি

সুবেহ সাদিক, শ্রেষ্ঠ সময়, তাহাজ্জুদ শেষে সেহেরি
রবের ডাকে দেই যে সাড়া, সালাতে করি রোনাজারি।
সংযম করি, সবর শিখি, আল্লাহর পথে চলতে চাই,
রহমত কর, নাজাত দাও, তুমি ছাড়া প্রভু কেউ নাই।
 
সীমিত আহার, সীমিত পান, বেশি বেশি দান-সদকা
মানবিকতার দ্বার খোলা থাক, না থাকুক অহমিকা।
'সকলের তরে সকলে মোরা' কভু যেন না ভুলি, প্রভু
রুদ্ধদ্বার কষাঘাতে অশ্রুপাত, বিফল যেন না হই, বিভু।  

তুমি মহান, ও দয়াময় তোমার তরে সকল ফরিয়াদ
ক্ষমা কর মোরে, পাপী-তাপী আমি যে, চাই আজাদ।
মাহে রমজান, বিদগ্ধ সিনান,  আকুলিত হৃদয়খানি,
অমরত্ব চাই না আমি, চাই শুধু তোমার মেহেরবানি।

বেলা যায়, সময় শেষে লাল নীলিমা দিক-দিগন্তে
সমবেত সুরে আযানের ধ্বনি ঐ শোনা যায় দূর প্রান্তে।
সারাদিনের সিয়াম শেষে, সবাই মিলে করি ইফতারি,
থাকি সদা সচেতন,পাশে যেন কেউ না থাকে অনাহারী।

কবি পরিচিতি: নাজমুন নাহার নূপুরের জন্ম ময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলায় প্রত্যন্ত একটি গ্রামে। শৈশবেই লেখালেখিতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের নানা শাখায় তার সাবলীল পদচারণা। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার প্রকাশিত হচ্ছে। বিবিএ ও এমবিএ শেষ করার পর তিনি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ কর্মরত আছেন।

ওমেন্স নিউজ/