সুলতানা রিজিয়ার প্রবন্ধ ‘ঈদ-আল্লাহর সন্তুষ্টির উৎসব’

সুলতানা রিজিয়া

 ঈদ-আল্লাহর সন্তুষ্টির উৎসব

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ।

                    (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম)

ঈদের চাঁদরাতে ঘরে ঘরে এই গানের সুর ও কথা সকল বয়সের মুসলিমের কাছে ঈদের অগ্রিম উপহার হিসাবে প্রতিভাত হয়ে আসছে। এই গানের সুর ঝংঙ্কৃত হলেই চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের সংবাদের জন্য কেউ আর অপেক্ষা করেন না। সাজ সাজ রব পড়ে যায় সকলের মধ্যেই। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মাঝে। সাথে রান্নাঘরও সরগরম হয়ে ওঠে। কোথাও কোথাও ঊর্ধ্ব গগনে আতশবাজির আলোর রৌশনাই ঝরতে থাকে, সাথে পটকার মুহুর্মুহু শব্দে কৈশোরকালের দুরন্তপনা বাড়ে। রমজানের দীর্ঘ একমাস ধর্মীয়ব্রত সিয়াম সাধনায় নিবেদিত মানুষরা একটু হাত পা ছড়িয়ে বসেন। তাদের ইফতারির পরে তারাবী নামাজের আর তাড়া থাকেনা। ঈদের চাঁদ যেনো ঘরে ঘরে শান্ত সৌম্য পরিপাটি পরিবেশে খুশির আবেশ নিয়ে আসে। অনেকটা অলৌকিক ভাবে! যেনো মহান আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের ইবাদত বন্দেগীতে সন্তুষ্ট হয়েই তাঁর পক্ষ থেকে খুশির তোওফা পাঠালেন!

মুসলিম জাহানে বছরে দুটো ধর্মীয় উৎসব সাড়াম্বরে পালিত হয়। এক- আরবী শাওয়াল মাসে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ, দুই- জিলহজ্ব মাসে ঈদুল আযহা বা কুরবানির ঈদ। দুই ঈদ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতায় পার্থক্য রয়েছে। রোজার মাসে সিমায় সাধনায় ঈদুল ফিতর  আনন্দের বারতা নিয়ে আসে। ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ আসে ত্যাগের মাহাত্ম্য নিয়ে। দুই ঈদেই মুসলিম জাহান তাদের নিজ নিজ সাধ্য ও সামর্থের সাথে ঈদ উৎসব পালন করে আসছেন। তবে এখন আর সেই আগের মতো ঈদের কোলাহল, হৈ চৈএর আনন্দ চোখে পড়েনা। চাঁদরাতে ঘরে ঘরে সেই সৌম্যস্নিগ্ধ পরিবেশ থাকেনা, রান্নাঘরে তাড়াহুড়োর কর্মপটুতায় তৈজসপত্রের  ঠুনঠান আওয়াজও পাওয়া যায়না। এখন আমরা সভ্যতার চরম শিখরে অবস্থান করছি। বৈদ্যুতিক সরমঞ্জাম এখন হাতের নাগালে। এখন খাটাখাটুনির পরিশ্রম তেমন নেই বললেই চলে। এরসাথে যুক্ত হয়েছে প্যাকেটের আধিক্য। সবকিছু পরিশুদ্ধ, পরিপাটি এবং প্রায় প্রস্তুত। কুটাবাছার ঝক্কিঝামেলাও নেই। ফ্রিজের কল্যাণে পক্ষকালের বাজার সদাই, সপ্তাহে রান্নার কাজ এগিয়ে থাকে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে খাদ্যাভ্যাস ও খাবারের রকমারি মেনুর নতুনত্ব। জীবন যাপনকে সহজতর করতে এবং ব্যস্ত রাখতে গুগল এখন আমাদের জীবনের প্রায় নব্বুই ভাগই দখল করে নিয়েছে।
বাড়ি ঘরের পরিবেশে, আসবাবপত্রে, পড়ার টেবিলে, একচিলতে বাগানের আড্ডার চেয়ারে, পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজনদের ললাটে, আয় উন্নতির ক্ষেত্রে, বাজায় সদাইয়ের ব্যাগে এবং মনোযোগ বা মনের অলিন্দে এখন গুগলের আধিপত্য। কখন, কি, কোথায় এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ায় এখন গুগল নির্ভরতায় আমরা অনেকটাই পঙ্গুত্বের দ্বার প্রান্তে। একে পাকাপোক্ত করতে পাড়ায় পাড়ায়, পথের মোড়ে, নানন্দনিক স্থানে, সপিংমলে, খোলামাঠের পাশে  হরেক নামে তৈরী খাবারের পসরার জমজমাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সাথে যুক্ত হয়েছে খাবার মেনু চাইলেই ( অর্ডার দিলে ) সরবরাহের তড়িৎ গতি । এর সবটাই গুগলের কারিশমা!

আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের বিধান মোতাবেক আমরা রোজা, নামাজ-কালাম, হজ্ব, জাকাত,  দান খয়রাতে নিবেদিত থাকলেও যথাযথভাবে পূর্ণ তাওয়ার সাথে করছি কি না তা নিয়েও অনেক মতানৈক্য বিজারমান। রমজানের একমাস দশদিন করে  তিন ভাগে ( রহমত, বরকত ও মাগফিরাত বা নাজাত) আমরা নিষ্ঠার সাথে সিয়াম পালন করি। রমজানের সিয়াম পালনে দৃঢ় তাকওয়া থাকার পাশে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক দায় দায়িত্বের প্রতি করনীয় কর্তব্য পালন জরুরী। কারণ রমজানের এই একমাসের সাধনায় আমাদের আগামী দিনগুলোকে পরিশুদ্ধ ও সহজতর করে তোলার আশা থাকে। সমাজে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, দরিদ্র জনসাধারনের প্রতি দয়া, মায়া, সহানুভূতিশীল হওয়ার শিক্ষা দেয় এই সিয়ামের নিষ্ঠা। দারিদ্র্যের কষাঘাত কি, অভুক্ততার কষ্ট কি সেটার মোক্ষম প্রামান মিলে রমজানের রোজা পালনে। এর সাথে মহান রাব্বুল আলাআমিন দারিদ্র্য বিমোচনের তরিকাও নির্দেশ করেছেন। প্রত্যেক ধনবান ব্যক্তি নিজ নিজ ধন সম্পদের ভাগ ( জাকাত প্রদানে )  যথাযথভাবে প্রদানের ক্ষেত্রে মনোযোগী হলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিক সহায়তা লাভে স্বস্তি ফিরে পেতে পারেন। আল্লাহর দুনিয়ার সবকিছুর মালিকই তিনি স্বয়ং। এই সকল ধনসম্পত্তি, বিত্তবৈভব, প্রাচুর্যের সবটাই আল্লাহর। তিনি শুধুমাত্র এর বর্তমান মালিকানায় কারো কারো নাম যুক্ত করেছেন শুধুমাত্র তাকে পরীক্ষায় রাখার জন্য। তাঁর ইচ্ছার এই সব  সম্পদের বর্তমানে যারা মালিক তাদের সমপর্যায়ে ( নির্দিষ্ট ) বার্ষিক বন্টন / দানের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদসমূহ পরিশুদ্ধ করবেন। জাকাত প্রদানের ফলে ব্যক্তির সম্পদ যেমন পরিশুদ্ধ হয়, তেমনি অভাবগ্রস্ত  দরিদ্র জনগোষ্ঠী সাময়িকভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেন। ঈদপূর্বে মাথাপিছু ফেতরা প্রদানের হক আদায়ে আশপাশের গরীব জনগন ঈদের দিনে আনন্দের সুযোগ পান। তাদের ঘরে নতুন জামা কাপড়, ভালো মুখরোচক খাবারের সুযোগ হয়। আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিম জাহানকে প্রদত্ত ঈদের তোওফা বা উপহারের আনন্দ সকলের জন্য সমভাবে বন্টনের জন্যই এমন আবশ্যিক বিধি বিধানের প্রবর্তন।

বর্তমানে আমাদের কাছে ঈদ মানে শুধু খুশি বা আনন্দের দিন নয়, নয় নিয়মমাফিক ফরজ ও সুন্নত আদায় করা।  ঈদ উৎসব মানে এখন অনেক কিছু। যেমন –

ঈদ মানে মোটা অংকের টাকা কামানোর ব্যবস্থা বা ধান্ধা করা-
ঈদ মানে জাল জালিয়াতি, অনৈতিক কাজের অলিগলি খোঁজা-
ঈদ মানে হাল ফ্যাসানের পোষক থেকে গাড়ি, বাড়ি তথা যা মন চায় ( পরিবারের বায়না ) আয়ত্ব করা-
ঈদ মানে নিজস্ব আবাস, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী ফেলে পছন্দমাফিক ( গুগগ সার্চে ) শহর, বন্দর ছাড়িয়ে পরদেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা করা-
ঈদ মানে সম্পদের যথাযথ জাকাত আদায়ের নামে গরীব দুঃখিদের ন্যূনতম উপহার দিতে ( জাকাতে ফাঁকিবাজি )  বিরাট আয়োজন করা-
ঈদ মানে বেতন বোনাসের জন্য অধীর অপেক্ষা করা-
ঈদ মানে দুঃস্থ আত্মীয়দের এড়িয়ে চলা-
ঈদ মানে শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায়ের দাবীতে নির্দোষ গ্রেপ্তার হওয়া-
ঈদ মানে তীব্র যানজট সৃষ্টিতে হাট বাজারে ভিড় করা-
ঈদ মানে প্রকৃত সম্বলহীন মানুষদের অনাহারে থাকা-
ঈদ মানে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করা।
ঈদ মানে অ নে ক কিছু।

আমাদের সময়ে একপাতে না হলেও একসাথে পুরো পরিবার, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী  ঈদের আনন্দ উদযাপন করেছি। আমরা অর্থবিত্তের চেয়ে চিত্তে এবং ভাবনায় পরিশুদ্ধ ও আন্তরিক ছিলাম। সেই সময়ে বাজারঘাটে, দোকানপাটে নারীদের আনাগোনা ছিলোনা বল্লেই চলে। পুরুষদেরই মূল দায়িত্ব ছিলো আয় রোজগারের সাথে সাথে রসুইঘরের সদাইপাতি, তৈজসপত্র, আসবাবপত্রের যোগান দেওয়া। বাড়ি ঘরের নারীরা নির্ভর করতেন দুয়ারে দুয়ারে ফেরিওয়ালাদের উপর। তারাই ছিলো নারী মহলের কাছে পছন্দের বাহক। শাড়ি, জামা, কাপড়, চুড়ি, ফিতা, আলতা, নখপালিশ, আতর, শূর্মা থেকে শুরু করে সাজসজ্জার সবটাই এইসব ফেরিওয়ালারাই জোগান দিতো। আমাদের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ছিলো না কোন আফসোস বা দুঃখ। আমরা এই সাধ ও সাধ্যের  সুসমন্বয়ে ঈদের আনন্দে আটখানা হয়েছি। সেলাই মেশিন, সেমাই কাটার মেশিন, হাতে বানানো সেমাইকে ঘিরে পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে কলগুঞ্জনে মত্ত থেকেছি। বিয়ের আয়োজনের অধিক আনন্দে আমরা মেন্দি (মেহেদী ) বাটার আনন্দে দুলেছি।
তখন ফ্রিজ, টিভি ছিলোনা। টেলিফোন ছিলো অফিসে, বড় বড় কলকারখানায় ও বড়লোকদের বাড়িতে। আমাদের অনেকের ঘরেই তখন রেডিও ছিলো। কলের গান ছিলো, হিসমার্ষ্টার ভয়েজের রেকর্ড ছিলো। আমরা তাতেই নিজেদের খুব সুখী আর সৌভাগ্যবান মনে করতাম।

ঈদের আনন্দ উপভোগে আমরা গ্রামমুখী ছিলাম। আত্মীয় স্বজন নিয়ে আমরা একত্রে ঈদ করতাম। সাথে আনা আত্মীয়দেরকে ঈদ উপহার দেওয়া থেকে পাওয়ার পালা চলতো প্রায় তিন চারদিন। এই অবসরে আমরা নদীতে সাঁতারের নামে জল নিয়ে স্ফূর্তিতে মাথার চুল ধুতাম ( শ্যাম্পু করা )। অনেকের নতুন পোষক কেনার সামর্থ না থাকায় তারা ঈদের দিন পড়ার জন্য জামা কাপড় ধুতে নদীর ঘাটে ভিড় করতো। সে এক এলাহি কান্ড। সেখানই আমাদের পরিকল্পনা হতো কখন, কোথায় খেলার নামে আমরা আড্ডা দিবো। শীতকালে এই পর্বটা থাকতো না। তখন নিজ নিজ কূয়োতলায় বা চাপকলের  (টিউবওয়েল ) গোসলখানায় গোসল করতাম। সে সময়কার ঈদগাহের মাঠে বা মসজিদের জৌলুস ছিলোনা। তবুও আমরা আমাদের খুশির কলোকাকলিতে চারপাশ আনন্দে ভরিয়ে তুলতাম। চারআনা, আটআনা ছিলো আমাদের সেলামী। একটাকা কেউ দিলে নিজেকে খুব বড় মনে হতো। শখের রঙিন বেলুন, শোলার চরকি, চিনির মিঠাই, হাওয়াইমিঠাই,  খাজাগজা আর বায়োস্কপের বাক্স ছিলো আমাদের ঈদ আনন্দর উপাচার। দলবেঁধে বাড়ি বাড়ি বেড়ানোটা আমাদের আবিষ্ট করে রাখতো। কুশল বিনিময়, মিষ্টমুখ ও মুরব্বিদের আদর ছিলো উপরি ঈদ উপহার।

গ্রীষ্মকালের ঈদের সাথে শীতকালের ঈদে রান্নাঘরের ব্যস্ততা ছিলো আলাদা। শীতের ঈদে ঘরে ঘরে ঢেঁকির শব্দে আনন্দ উথলে উঠতো। আমরাও দৌঁড়ে গিয়ে ঢেঁকিতে পা দিতাম। ঢেঁকির তালে নাচতাম  চাচী খালা ফুপুর কোমড় জড়িয়ে ধরে। পিঠা পুলি,নলেন গুড়ের ক্ষীরের সাথে সুগন্ধি চালের পোলাও, মাংস, কোরমার সমাহারে পুরো গ্রাম সুগন্ধে মৌ মৌ করতো। আমাদের জাতপাতের বালাই ছিলো না। কাঁসার থালা বাটি, ঘটি, চামুচের পৃথককরণ ছিলো না। সকলের সাথে সমান আচরণের সওগাত নিয়ে আসা ঈদ এভাবেই পালিত হতো। সেকালেও কারোর সাজগোজের কমতি ছিলোনা। আলতা পায়ে আমারা দলবেঁধে গ্রামের সবুজের ছায়ায় ছায়ায় ঘুরে বেড়াতাম। রোজার শুরুর দিকেই জমি জমার মলিকরা নিজ নিজ সম্পদের ( ফসলের, টাকাপয়সার ) আল্লাহর বিধান মতো জাকাত আদায় করতেন, ফিতরা দিতেন। ফলে প্রায় সকলের ঘরেই ঈদের দিন ভালো কিছু রান্নার আয়োজন হতো। নতুন পোষাকও পরতো। বিকালে জমে উঠতো কলেরগানের আসর। আমরা আমাদের কলেরগান, রেকর্ড ও গান বাজানোর পিনের বক্স সাথে নিয়ে যেতাম। ফরমায়েশ মতো গান বাজতো। দারুণ উচ্ছ্বাস উদ্দীপনায় একটা দিন কেটে যেতো।

এখন এই অবসরে মন কেবলই ফিরে ফিরে দৌঁড় দেয় কিশোরীবেলায়। মাঝে মাঝে ভাবি এই প্রজন্মের কেউই কি জানে ঈদের আসল আনন্দ কিসে! ঈদের অর্থ কি?
আমরা এখন নিজ নিজ পরিবার, ট্যাটাস, লাভের নেশায় মত্ত থাকছি। ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের হিসাবে ডুবে আছি। ভুলে গিয়েছি আমাদের শৈশব, কৈশোরকালের স্মৃতি, পিতা মাতার ত্যাগ, ভাই বোন, আত্মীয় স্বজনদের প্রেরণা, স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালোবাসা। নিজেরটুকুর মধ্যেই নিজেকে বন্দি করে রেখছি। সন্তানদের সামনে মূলা ঝুলিয়ে দেয়া মতো ট্যাব বা ল্যাপটপ দিয়ে অনলাইনের সাথে জুড়ে দিয়েছি। "এখন করে কর্মে খা " জাতীয় দায়িত্ব দিয়ে পিতা মাতার বংশের সকল শেকড় কেটে দিচ্ছি। সন্তানরাও দিনে দিনে স্বার্থপর হয়ে বেড়ে উঠছে। আমি আমির শ্রেষ্ঠত্বে বুঁদ হয়ে আছি। না শিখছি ধর্মীয় আচরণ, না রাখছি সামাজিক এবং পারিবারিক সম্পর্ক- সৌহার্দ।  এদের কাছে এখন  ঈদের অর্থ নতুন পোষক, মসজিদের নামাজের জামাতে ( স্বল্প সংখ্যক) হাজিরা, বেসুমার খানাপিনা আর আড্ডা।
ইসমাল শান্তির ধর্ম। এই ধর্মের মূল বিষয়ই হলো সৎ পথের তালাশ করা,হারাম/ মন্দকে জীবন থেকে মুছে ফেলা, সহজ সরল জীবন যাপন করার সাথে স্রষ্টার প্রতি শুকরিয়া আদায় করা, সেজদাবনত হওয়া। খুবই সহজ সরল নান্দনিক জীবনই ইসলামের বৈশিষ্ট্য। আসুন- আমরা এই রমজানে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সিয়ামের মধ্য দিয়ে ঈদের নির্মল মাহাত্ম সন্তানদের সামনে তুলে ধরি, জান্নাতের অন্বেষণ করি।

সুলতানা রিজিয়া: কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সংগঠক ও প্রকাশক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ‘নন্দিনী’নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করছেন। এছাড়া তার রয়েছে প্রকাশনা হাউস সম্রাজ্ঞী। তার প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থ ৩১ টি। সাহিত্য ও সাংগঠনিক অবদানের জন্য পেয়েছেন ত্রিশটির বেশি সম্মাননা পদক।

ওমেন্স নিউজ/