শিক্ষক দিবসে সুলাইমান মাহমুদ রাসেলের বিশেষ কবিতা `মহান কারিগর’

সুলাইমান মাহমুদ রাসেল

মহান কারিগর

আলোয় ভুবন ভরিয়ে দিতে আপনি হলেন গুরু
সামনে এলে বুকটা আমার করে দুরু দুরু।
ডাগর ডাগর চোখের তারায় ফেলতে দুটো চোখ
কি যে লাজুক মিষ্টি হাসি জমিয়ে রাখে লোক।
চাল-চলনে বীর বাহাদুর নেইকো রূপের শেষ
অপূর্ব ঐ মুখখানা আর নিকষ কালো কেশ।

কথায় কেমন মুক্তো ঝরে ক্লাস নিলে হয় নেশা
নতুন শহর ঘুরিয়ে আনেন গদ্যে গগণ চষা!
নিয়ম-নীতির শুদ্ধতা আর শান্তি বজায় রেখে
হাজার হাজার ছেলেমেয়ে, যায় না কেন বেঁকে।
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলছে আজও যেমন জাদুকর
কাব্যকলার ভাষ্যকারের ঠিক কোকিলের স্বর।

পাখির মতো উড়াল দিয়ে ক্ষণিক বিদায়বেলা
একলা একা কান্না করি নিয়তির এ খেলা!
কেউ পারো কি ধরতে তাঁকে রাখতে হৃদয়মাঝে
ঘুমের ঘোরে বুকের ভেতর শব্দগুলো বাজে!
কোথায় আমার প্রাণবিজয়ী কোথায় নিব শরণ
হয়তো নতুন অঙ্গনে যান করবে সবাই বরণ।

ভালোবাসায় বেঁধে রাখি এই খেয়াঘাট', মাঝি
নাই সে বিধান, ও বাতিঘর— হতেন যদি রাজি
দূর আকাশের তারার মতো জ্বলতে থাকুন বেশ
মানুষ হওয়ার মন্ত্র শেখান— একটি বাংলাদেশ!
শিক্ষাগুরুর সম্মানে আজ আমার আছে আলো
সব পাপাচার পুরানো ভুল, দূর হয়ে যাক কালো।

আপনি আমার স্বপ্ন আশা নতুন পথের দিশা
অভিধানের পাতায় পাতায় অন্যস্মৃতির ভিসা।
উড়িয়ে আমায় জ্ঞানপিপাসায় বিদায় জানান
আপনি আমার স্মৃতির সোপান বিশুদ্ধ বিদ্বান।
ভুল ত্রুটি আর বিষাদ যদি আমার হয়ে থাকে
ক্ষমার চোখে দৃষ্টি দিবেন পুষ্পিত বৈশাখে!

উৎসর্গ-ঝালকাঠি সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মাসুম বিল্লাহ।

কবি পরিচিতি: সুলাইমান মাহমুদ রাসেল সময়ের আলোচিত তরুণ কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। বরিশালের ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরে তার জন্ম। প্রকাশিত যৌথকাব্যগ্রন্থ— আটটি। তার কবিতা আরবি ও ইংরেজিতে অনুদিত হয়েছে। সাহিত্য চর্চার জন্য ইতিমধ্যে অর্জন করেছেন আবুল মনসুর আহমদ পুরস্কার ২০২১ এবং জেলা সাহিত্য সম্মেলন সম্মাননা-২০২২।

ওমেন্স নিউজ সাহিত্য/