দ্বিতীয় নারী মেয়র পেলো বাংলাদেশ

দুই নারী মেয়র জায়েদা খান ও আইভী

নারায়ণগঞ্জের সেলিনা হায়াৎ আইভীর পর দ্বিতীয় নারী মেয়র পেলো বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী এডভোকেট মো. আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদা খাতুন।

হলফনামায় পেশা ব্যবসা লিখলেও জায়েদা আসলে একজন গৃহিণী। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম তার ছেলে। নির্বাচনে তার জয়লাভের পিছনে ছেলে জাহাঙ্গীরের ব্যাপক ভূমিকা থাকলেও জায়েদা খাতুনের প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জায়েদা খাতুন। তিনি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট মো. আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। অর্থাৎ তিনি আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে হারিয়েছেন।

জায়েদা খাতুন হলেন গাজীপুর নগরীর তৃতীয় মেয়র; আর দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী মেয়র। দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি।

হলফনামা অনুযায়ী জায়েদা খাতুনের জন্ম ১৯৬২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তার স্বামী মো. মিজানুর রহমান পাঁচ বছর আগে মার গেছেন। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলার তথ্য নেই। সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর গাজীপুর মহানগরের উন্নয়ন ও নগরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ৯ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন জায়েদা খাতুন। সেই ইশতেহারের কতটা পূরণ করতে পারেন সেটাই দেখার পালা।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪৮০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এই সিটির মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। ভোট দিয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫০ জন ভোটার। এরমধ্যে বাতিল ভোট ১ হাজার ৭৯৪। মোট বৈধ ভোট ৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৬টি। প্রদত্ত ভোটের হার ৪৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/