৩০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সেতু, ভোগান্তিতে চার গ্রামের মানুষ

হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামের সতী নদীর সাগরঘাট নামক সেতুটি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে চারটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে বাশের  সাঁকো নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী। কিন্তু সেটিও জরাজীর্ণ। ফলে সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয়রা। দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামকে বিভক্ত করেছে এই সতী নদী। নদীর ওপারে চন্দনপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাবনাডালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাসকিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা।

শুষ্ক মৌসুমে কোনোমতে পার হতে পারলেও বর্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না।হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, জমি থেকে ধান কেটে নেওয়া এবং মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ যেতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেতু না থাকায়  বামনের বাসা রাস্তা হয়ে ৪ কিলোমিটার ঘুরে আদিতমারী উপজেলায় যেতে হয়।

ভুক্তভোগী আবুল কাশেম বলেন, জন্মের পর থেকে দেখতেছি এই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ, বারবার মন্ত্রীর কাছে গেলেও শুধু আশ্বাস দেন।আমরা আশ্বাস নয় ব্রিজ চাই।

তাসকিয়াতুল উম্মুল মাদ্রাসা ও এতিমখানার একজন শিক্ষক জানান, শুকনো মৌসুমে ছাত্রছাত্রীরা  ক্লাস করলেও বর্ষার সময় ক্লাস করতে পারে না, ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা।

স্থানীয় বাসিন্দা লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আমিনুল ইসলাম জানান, এই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মজিবুর রহমান ব্রিজের আশ্বাস দিলে কয়েকবার মাপযোপ হলেও পরে মেলেনি ব্রিজ। এরপর আমাদের মাননীয় সাংসদ নুরুজ্জামান আহমেদ প্রথমবার নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয়বার নির্বাচনের আগে তিনি নিজে এসে বলেছিলেন ব্রিজ এবং রাস্তার কাজ শুরু হবে। তৃতীয় ধাপে তার মেয়াদকাল শেষ পর্যায় তবুও মেলেনি ব্রিজ। জন্মের পর থেকে দেখে আসছি পর্যায়ক্রমে  প্রকৌশলীরা মাপ যোগ করলেও নির্মান হয়নি ব্রিজ।

তৃতীয় দফায় সরকার নির্বাচিত হওয়ার পরও সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি মিলেছে বারবার। কিন্তু আজও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য প্রতিশ্রুতি নয় এবার সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। সেতু হলে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের যেমন সুবিধা হবে তেমনি জীবনযাত্রার উন্নয়ন হবে।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/