জীবন যুদ্ধে অপরাজেয় যোদ্ধা শামসুয জাহান নূর-নন্দিনী পরিবারের বাতিঘর

সুলতানা রিজিয়া

সুলতানা রিজিয়া

ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ।
ঐ খানেতে বাস করে
কানা বগীর ছা।
              খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন

কবির কবিতার মতোই কবিকন্যা শামসুয জাহান নূর ছোট- বড় সকলের কাছেই ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয় এক ব্যক্তিত্ব। আপাদমস্তক নিপাট সুশ্রী, গৌরবর্ণ এবং লাস্যময়ী লাবন্যে ভরপুর ছিলেন। হাসি খুশি উচ্চস্বরের অধিকারী এই মানুষটি ( নারী হয়েও দৃঢ়তেচা ) স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তার চারপাশের নারী – পুরুষকে মাতিয়ে রাখতেন। অসহায় নারী সামাজের প্রতি তার ছিলো বিশেষ মমতা, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার দুর্দান্ত প্রচেষ্টা। কর্মজীবনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের চেয়ে তার মানবিক তাড়না ছিলো স্বতস্ফূর্ত। ফলে এই সব নারীদের তিনি স্বপ্ন দেখাতেন, সঙ্গ দিয়ে, সাহস দিয়ে  সামনের কাতারে এগিয়ে দিতেন, প্রয়োজনে লড়াইয়ের মাঠে (তাদের কর্মক্ষেত্রে ) তিনি পক্ষ নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতেন।
১৯৮৮ সালের শেষের দিকে শামসুয জাহান নূর আপার সাথে আমার পরিচয়ের সূত্রপাত হয় সাপ্তাহিক বেগম অফিসে।  সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকার সম্পাদিকা নূরজাহান বেগম তার পাটুয়াটুলির অফিস তথা সওগাত প্রেসে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রখ্যাত নারীনেত্রী,  লেখক অধ্যাপিকা হামিদা খানমের মাধ্যমে। ঢাকার বুকে সবে আমার সম্রাজ্ঞী প্রকাশনী থেকে নারী লেখকদের অনন্য প্রতিষ্ঠান – এই শ্লোগানে  চার- পাঁচটি গ্রন্থ আলোর মুখ দেখেছে। সামনে ১৯৯৯ সালে একুশে বইমেলায় বুকস্টলের স্বপ্ন আমার দু'চোখে। তখন কর্মে আমি নিরলস, প্রত্যয় আমার চালিকাশক্তি এবং শ্রম আমার একমাত্র মূলধন স্বরূপ প্রকাশনা জগতে আমি হাঁটি হাঁটি পা পা। সেই সময় বেগম অফিসে পরিচায় নূর আপার সাথে। বাংলাদেশ সমবায় সমিতির চৌকষ কর্মকতা ও লেখক শামসুয জাহান নূর ছিলেন হামিদা আপার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি সম্রাজ্ঞী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত লেখিকাদের মাধ্যমে পূর্বেই  জ্ঞাত ছিলেন বিধায় তিনি আমার প্রতি বিশেষ মনোযোগী হন। পারস্পরিক আলাপনে তাৎক্ষনিকভাবে আমাদের মাঝে অবলীলায় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি আমার সকল কর্মকাণ্ডে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

পরবর্তীতে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং প্রখ্যাত সংগঠক ও লেখক ( বাংলাদেশ লেখক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ) ফরহাদ খাঁ 'এর কল্যাণে নূর আপা আমার প্রাণে বুবুর আসনটি পোক্ত করেন। লেখক সমিতি, বাংলাদেশ সমবায় সমিতির লেখক, কবি সাহিত্যিকদের কাছে তিনি বুবুই ছিলেন। আমাদের এই সম্পর্কের গ্রন্থি আত্মার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলো বলেই আমরা আমৃত্যু সম্পর্কযুক্ত ছিলাম।

১৯৮৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আমরা পুরো বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছি। কখনো নন্দিনী পত্রিকার কাজে, কখনো শাখা নন্দিনীর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে, কখনো নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র' র বার্ষিক সাহিত্য সম্মেলন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক কর্মযজ্ঞে ( প্রেস থেকে মঞ্চে) , বাংলা একাডেমীর বার্ষিক সাধারন সভা থেকে মাসব্যাপী বইমেলার প্রকাশনা ও  বিকিকিনির হাটেও আমরা ছিলাম একে অপরের পরিপূরক। নন্দিনীর সদস্য সংগ্রহ, নতুন লেখক তৈরি ও গ্রন্থ প্রকাশে  পান্ডুলিপি সংগ্রহ , সংকলন গ্রন্থের লেখকদের তালিকা প্রনয়নের কাজে, সাহিত্য অনুষ্ঠানে, প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, প্রবন্ধিক, আলোচকদের সম্মতি পাওয়ায়, দেশের শীর্ষ স্থানীয় কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও  বুদ্ধিজীবিদের সান্নিধ্যে আসায়, ঈর্ষাকাতর সমালোচক এবং কুচক্রীদের কুটচাল প্রতিহতে, পদদলিত ও নস্যাৎ করায় তিনি সবসময় ছিলেন অগ্রগামী। এইসব নোংরা মানসিকতার পাঁকে কখনো আমাকে ঠেলে না দিয়ে তিনি বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। একপাশে নূর বুবু ও আমার নন্দিনী পরিবার অটল সাহসে দুর্দমনীয় ছিলো অন্য পাশে ছিলেন  ফরহাদ খাঁ এবং তার সংগঠনের লেখক কবি সাহিত্যিকগন। আমি তাদের শ্রদ্ধা, ভক্তি – ভালোবাসা স্বরূপ নিশ্চিত সামিয়ানার নীচে স্বাচ্ছন্দে আমার প্রজ্ঞায়, মেধায় সৃজনশীলতার কুরশিকাঁটায় গেঁথেছি সৃষ্টির মাহাত্ম্য, গড়ে তুলেছি সাহিত্যের বাতিঘর, শিল্পের বাতায়ন, নারী পুরুষের মাঝে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির আশালতা। আমার এতো কিছুর সৃজনের পেছনে মূল চালিকা শক্তি ছিলেন দুর্দমনীয় সাহসী ব্যক্তিত্ব শামসুয জাহান নূর বুবু। আমাদের এই যাত্রাপথের মুগ্ধতায় কত জ্ঞানী- গুণীজন ছিলেন! যাদের পরামর্শে, সান্নিধ্যে, দিকনির্দেশনায় আমরা ছিলাম একান্ত বাধ্যানুগত সৃজন শ্রমিক। আমাদের দলনেতা ছিলে নূর বুবু। তার উপস্থিতিতে সকলেই তটস্থ থাকতেন। তার সাহসে, বলিষ্ঠ উপস্থিতিতে আমরা অবলীলায় সীমান্ত পাড়ি দিয়েছি। রাত্রি দিনের কোন ফারাক বুঝিনি। ভয় কি জিনিস, পরাজয়ের গ্লানি বা চলতি পথে থেমে যাওয়ার দহনযন্ত্রণা আমাদের অভিধানে ছিলোনা। আমরা তাকে আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসাবেই পাশে পেয়েছি। কখনোবা প্রকৃত মরমী অভিভাবক রূপে রগচটা রাগী মানুষ হিসাবেও পেয়েছি। সরকারী অফিস থেকে সকল প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বিধিমতো প্রয়োজনীয় (সাংগঠনিক) কাজ আদায় করে নিতেন। ফলে আমাদের দেশে বিদেশে দাপ্তরিক জটিলতায় পরতে হয়নি। আমরা নির্বিঘ্ন আমাদের অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি। মানুষের বিশ্বাস ভাজন হয়েছি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আজো  আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যহত রয়েছে।

শানসুয জাহান নূর বুবুর সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিলো ঘনিষ্ঠ। তার তিন পুত্রের কাছে আমার কদর ছিলো মা'য়ের পরেই। তাদের পারিবারিক সমস্যা, ভালোমন্দ সবটাই ছিলো আমার কাছে অকপট। তীব্র যানজটের কারণে তিনি বাহ্যত আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন। বস্তুতঃ  মনেপ্রাণে আমরা আজো একই আছি। গত ২০২১ সালে আমরা তাকে তার কর্মের ( সমাজসেবা ও সাহিত্য সাধনায় )  স্বীকৃতি স্বরূপ নন্দিনী প্রবর্তিত " নওয়ার ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী " পদকে ভূষিত করা হয়েছে। তিনি মৃত্যু পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র'এর জীবন সদস্য এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। আমরা সাংগঠনিক কাজে সবসময় তার পূর্ন সমর্থন পেয়ে এসেছি।

বেগম শামসূয জাহান নূর' এর কর্মময় জীবনী

বেগম শামসূয জাহান নূর ১৯৪৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কবি খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন। তার পৈত্রিক নিবাস চারিগ্রাম, মানিকগঞ্জ। তিনি বাংলাবাজার সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ইডেন গার্লস কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে বাংলা সাহিত্যে অনার্সসহ এম.এ পাশ করেছেন। তার স্বামী, মো. নূরে আলম একজন আইনজীবী এবং সমাজসেবক ছিলেন।

তিনি ১৯৬৮ সালে ঐতিহ্যবাহী সমবায় অধিদপ্তরে অফিসার পদে যোগ দেন। তৎকালে তিনিই তার কর্মক্ষেত্রে প্রথম নারী অফিসার। কর্মজগতে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন বলেই ১৯৭৮ সালে ‘উইমেনস্ ইন ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আমেরিকা যেতে পেরেছিলেন। এরপর তিনি বিভিন্ন দেশের প্রায় চল্লিশটি সংগঠন দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরবর্তীতে উইমেন গীল্ড এবং তৎকালীন ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এলান্সের আমন্ত্রণে লন্ডনে যান। ১৯৮০ সালে গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিতে ভারতের হায়দ্রাবাদে যান। তিনি সমবায় অধিদপ্তরের মুখপত্র ‘সমবায় ও কো-অপারেশন’ পত্রিকার প্রকাশনার দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়েছেন, বাংলা শব্দ, শব্দের মাঝে লুকিয়ে থাকা সুরের সঙ্গে তার আজন্ম বসবাস। পিতা কবি খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীনের উত্তরাধিকারী হিসাবে তিনি লেখার জগতে পা রাখেন। কবিতা ছাড়াও তিনি লিখেছেন স্মৃতিকথা, জীবনীগ্রন্থ। তাঁর প্রকাশিত বেশকয়েকটি বইয়ের মধ্যে — ‘প্রজাপতি পাতা’, ‘ফুলের মতো মানুষ’, ‘ত্রিশালে বিশাল প্রাণ’ উল্লেখযোগ্য।

তিনি শুধু লিখেই ক্ষান্ত হননি, নিজের লেখাকে নানা স্থানে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের লেখা নিজের মধ্যে ধারণ করার জন্য জড়িয়েছেন শিল্প সাহিত্য সংগঠনের সঙ্গে।

তিনি যেমন লেখালেখিতে সিদ্ধহস্ত, তেমনি সাংগঠনিক  কাজেও। তিনি তার পিতার নামকে পৃথিবীর বুকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন কবি মঈনুদ্দিন একাডেমি। তিনি বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য। বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র,  বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, মানিকগঞ্জ সমিতি এবং সামাজিক পুনরুদ্ধার সংশোধন সমিতির জীবন সদস্য। তিনি বিজনেস অ্যান্ড প্রফেশন উইমেন্স ক্লাব ঢাকা নর্থ ওয়েস্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। অঞ্জলি সাহিত্য সংঘ এবং স্বগত সাহিত্য গোষ্ঠির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। জাতীয় মহিলা সংস্থার ঢাকা প্রধান শাখার প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাংলাদেশ লেখক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভানেত্রী। জাতীয় মহিলা কার্যক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সমতির যুগ্ম সম্পাদক। নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপদেষ্টা। তিনি প্রতিটি সংগঠনকেই অন্তর থেকে ভালোবেসেছেন, সংগঠনের যে কোনো কাজ নিজের দায়িত্ব মনে করেই সমধানে এগিয়ে গিয়েছেন।

তিনি যেমন সংগঠন ভালোবাসেন, ভালোবাসেন লেখালেখি তেমনি ভালোবেসেছেন তার সংসার-তার সন্তান। মানুষকে ভালোবাসাটাও একটা বড়ো গুণ যা সামসূয জাহান নূর-এর মাঝে বিদ্যমান।

আমার উপলব্ধির কথা

এখন জীবনকে বড়ই নির্ভার মনে হয়। দায় নেই, দায়িত্ব নেই, আয় ইনকামের জরুরতও নেই। বরং আমি এখন অনেকটাই  শিশু কিশোরের মতো। কখনোবা স্কুলের এক্কাদোক্কার ঘরে, আমার সীমানা এখন খেলার কোর্টের মধ্যে গণ্ডিবদ্ধ। সন্তানরাই এখন আমাদের অভিভাবক! এটাই হয়, জীবন চাকার্ঁৃ ধর্মই চক্রাকারে ঘুর্নায়মান।  নূর বুবুর ক্ষেত্রেও এটাই নির্ধারিত ছিলো। আর তাই তার আফসোস ছিলো, হতাশা ছিলো, শরীর ও মনের অক্ষমতা তাকে বড়ই বিচলিত করতো। এটাই হয়, বয়স বড়ই বেরসিক এবং অকপট। আমরা কম বেশি সকলেই এই ঘেরাটোপে আবদ্ধ।
লেখালেখির সাথে  সম্পাদনা ও প্রকাশনার  দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার কতপ্রিয় মানুষ, প্রিয়মুখকে হারিয়ে শোক সংবাদ তৈরি ও ছাপতে হয়েছে, হচ্ছে। অলক্ষ্যে তাদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছেই। ফলে আমাদের পত্র পল্লব পুষ্প সমৃদ্ধ জীবন বৃক্ষের শরীর প্রায় শূণ্য। কত মানুষ হারেয়ে গিয়েছে, জীবন বৃক্ষের পত্র গুল্মের হলদে বিবর্ণ রং চোখের ঘুম উধাও করে দেয়। মনে দানা বাধে মৃত্যু শঙ্কা, বিচ্ছেদের কাহন। আজ আছি কাল নেই এর ধারাপাতে অংকের কোন মিল নেই, নিয়মের গুড়ে বালি দিয়ে আগে পিছে নিঃশব্দে ঝরে যাচ্ছে জীবন বৃক্ষের পত্র। শোক সংবাদ, স্মরণ সভার আয়োজনে আপন মৃত্যর ক্ষনটি মুচকি হাসে আর বলে তোরও  সময় এলে শোকসংবাদ নিয়ে কেউ না কেউ উতলা হবে, আচম্বিত  চোখের মনি উপচিয়ে গড়িয়ে পরবে বিচ্ছেদের শোকাশ্রু।
আজ মৃত্যুর মিছিলে নূর বুবু, কাল অমুক, পরশু হয়তো আমিই যুক্ত হবো।
আল্লাহ্ পাক  পরোয়ার দীগার, আমাদের মৃত্যু শোক সহ্য করার শক্তি দান করুন, এটাই জীবনের অন্তিম  ক্ষনের প্রার্থনা।।
আসুন আমরা আমাদের প্রিয়জনদের আত্মার শান্তি কামনা করি। তাহলে হয়তো আমরাও প্রিয়জনদের অন্তর নিঃসৃত দোয়া ও শান্তি বারতা পাবো।

শামসুয জাহান নূর

সুলতানা রিজিয়া: কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক, সংগঠক ও প্রকাশক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ‘নন্দিনী’নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা বের করছেন। এছাড়া তার রয়েছে প্রকাশনা হাউস সম্রাজ্ঞী। তার প্রকাশিত মৌলিক গ্রন্থ ৩১ টি। সাহিত্য ও সাংগঠনিক অবদানের জন্য পেয়েছেন ত্রিশটির বেশি সম্মাননা পদক।

ওমেন্স নিউজ সাহিত্য/