আমাদের দেশে সিনিয়র শিল্পীদের ভেবে গল্পপ্রধান ছবি হয় না: নূতন

চিত্রনায়িকা নূতন

আবু মোহাম্মদ মাছানী

ফারহানা আমিন রত্না, যার চলচিত্র নাম নূতন।  একজন গুণী এবং বাংলাদেশে সেরা নৃত্য শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে তার বিকল্প খুব কমই ছিলো এবং আছে।

মুস্তফা মেহমুদ পরিচালিত নতুন প্রভাত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে অভিষেক। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি ১৯৯১ সালে স্ত্রীর পাওনা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের স্বীকৃতি স্বরূপ শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। গত শতকের ৮০ থেকে ৯০ দশকে তিনি দাপটের সাথে অভিনয় করে গেছেন। দিয়েছেন অসংখ্য হিট, সুপারহিট ছবি। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যৌথ প্রযোজনার ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে ঘুরেছেন অনেক দেশ, শহর যেমন- ব্যাংকক, ম্যানিলা, লন্ডন, মুম্বাই,  শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান। তার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে যোগ হয়েছে অন্যান্য দেশের বিখ্যাত সব শিল্পীদের সাহচর্য। সেই সময়ের সবচেয়ে ফিগার সচেতন এই গুণী অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন বলিউডের রাজেশ খান্না, মিঠুন, পাকিস্তানের নাদিমসহ সার্কভূক্ত দেশের অনেক নামি দামি অভিনয় শিল্পীর সাথে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম এবং কালজয়ী চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’-এর নায়িকাও তিনি। নায়িকা, ভাবী, মা- সব চরিত্রেই তিনি সুনাম কুড়িয়েছেন। পেয়েছেন অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কার ও সমমনা।

তার বিখ্যাত ছবি গুলোর মধ্যে আছে ওরা এগারো জন, সংগ্রাম, পাগলা রাজা, রাজমহল, আলাদিন  আলিবাবা সিন্দাবাদ, সৎ ভাই, মিস্টার মওলা, সত্য মিথ্যা, রাঙা ভাবী, স্ত্রীর পাওনা, নাচে নাগিন,  রাজদুলারি, রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, কাজের বেটি রহিমা, অবিচার, ব্যাবধান, বিরোধ, বিশ্বাসঘাতকসহ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত অনেক ছবি।

সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় এই গুণী অভিনেত্রীর সাথে কথা হলো তার বাসার ড্রয়িং রুমে বসে। অত্যন্ত বিনয়ী এই সিনিয়র অভিনেত্রী তার পাঠকদের উদ্দেশ্যে সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন, দিয়েছেন নতুন শিল্পীদের উপদেশ। বলেছেন তার প্রায় পাঁচ যুগের অভিজ্ঞতা ও স্মৃতি। পাঠক এবং  তার ভক্তদের জন্য এই সিনিয়র নায়িকার সাক্ষাৎকার নিচে তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশে স্বাধীন হবার পর, পর পর দুইটি মুক্তিযুদ্ধের ছবিতে আপনি অভিনয় করেছেন। যেটা বাংলা  সিনেমার একটা ইতিহাস, একটা দলিল। সেই ইতিহাসের আপনি একটা অংশ হতে আছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল সেই দুই ছবির।
নূতন: অভিজ্ঞতা বলতে তখন আমি খুবই নতুন ছিলাম। একেবারে আনাড়ি। আনাড়ি হলেও সাহস ছিল বুকে। কিন্তু ভয় ছিল কারণ দেশ স্বাধীনের উপর ছবি। চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে পারবো তো? তাই আমার কাছে অফার এলে আমি এগিয়ে এসেছি " ওরা এগারো জন " আর ' সংগ্রাম ' ছবি দুটি করার জন্য । আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে বীরাঙ্গনা চরিত্র কিভাবে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারি সেই চেষ্টা করেছি। আশা করি আমি পেরেছি।

আপনি একজন নৃত্যপটিয়সী নায়িকা অথচ আপনাকে নিয়ে নাচভিত্তিক কোনো ছবি হলোনা। যেমন বম্বেতে উমরাও জন, পাকিজা, নাচ ময়ূরী’র মত ছবি হয়েছে। এখানে হলনা কেন? কোনো আফসোস?
নূতন: অবশ্যই আফসোস আছে। এখানে একটা ছবি হয়েছিল নাচ ভিত্তিক। ছবির নাম রাজনর্তকী। সেখানে আমি অভিনয় করেছিলাম। পরিচালক ছিলেন ইবনে মিজান।  ছবিটা ছিলো সাদাকালো। এরপর আর নাচ নিয়ে কোনো ছবি হয়নি বা কেউ এগিয়েও আসেনি। আমার ধারণা ওই সময় কেউ এই কন্টেন্ট নিয়ে ভাবেনি বা তাদের মাথায় আসেনি সেই ভাবে, যা পাশের দেশে ভাবা হয়।

আপনার চোখে বাংলাদেশের সিনেমায় নাচে কে সেরা এখন পর্যন্ত?
নূতন: আমাদের সময়ে আমি সেরা ছিলাম। তারপর অঞ্জনা। আর যদি আমাদের পরের প্রজন্মের কথা বলা হয় তাহলে বলবো শাবনূর। শাবনূর খুবই ভালো  নাচে। এই প্রজন্মের ছবি দেখা হয়না, তাই বলতে পারছিনা ওদের ভিতর নাচে কে এগিয়ে।

সেই চিরচেনা রূপে নূতন

রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত, প্রাণ সজনী, সৎ ভাইসহ অসংখ্য ক্লাসিক ছবিতে অভিনয় করলেন অথচ জাতীয় পুরস্কার পেলেন এত বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র একবার। তাও সহঅভিনেত্রীর। কোনো কষ্ট আছে তার জন্য?
নূতন: অবশ্যই আছে।  সব শিল্পীই চায় যে তারা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হউক। যে ছবিগুলোর কথা বলা হলো সে সব ছবির চরিত্র সত্যিই পুরস্কার পাওয়ার মত যোগ্য ছিল। কিসের জন্য পাইনি বা কেনো আমাকে দেয়া হয়নি সত্যিই আমি জানিনা। আমার খুব ক্ষোভ আছে, দুঃখ আছে এই না পাওয়া নিয়ে।

একজন শাবানা, ববিতা বা নুতন হতে অনেক কাঠ খড় পোহাতে হয়েছে। আর এখন এক ছবি করে তারা নিজেদের কে তারকা আখ্যায়িত করেছেন। কারণ কি? এদের স্থায়িত্ব কত দিনের?
নূতন: আমাদের সময়ে কিন্তু আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। জানতে হয়েছে, শিখতে হয়েছে। সেই শিক্ষা আমাদের চলচ্চিত্রের লোকেরাই দিয়েছে। যার জন্য আমরা লম্বা রেসের ঘোড়া ছিলাম। আর এখন যাদের বেপারে প্রশ্ন এসেছে আমি তাদের দোষ দিবনা। যদি শুরুতেই তাদের পারদর্শী না করে তাদের নায়িকা করানোর লোভ দেখানো হয় তাহলে তাদের মাথা খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাদেরকে শেখানোর কেউ নেই। তাদেরকে শেখাতেই হবে। না হলে তারা লং টাইম ফিল্মে থাকতে পারবেনা। কারণ পারদর্শী না হলে হারিয়ে যাবেই। এটা করতেই হবে, এটা নতুন অভিনয় করতে যারা আসছে তাদের জন্য জরুরি।

কিছু তথাকথিত অভিনেত্রী এবং তাদের কিছু ব্যাক্তিগত কারণে চলচিত্রের সবার দুর্নাম হচ্ছে। এর থেকে বের হওয়ার উপায় কি?
নূতন: সিনিয়র শিল্পীসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সবাই মিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করা যায়। এ ব্যাপারে সিনিয়রদের ভূমিকা বেশি।

আমাদের দেশের সিনেমা শিল্প খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। এর প্রধান কারণ কি?
নূতন: এটা মাঝখানে একটু ছিল। এখন আবার মোড় ঘুরে গেছে। আমি আশাবাদী এখন সুন্দর সুন্দর ছবি হচ্ছে, দর্শক দেখছে। ভালো লাগছে এই ভেবে যে চলচ্চিত্রশিল্প আবার চাঙ্গা হচ্ছে, প্রযোজকরা সাহস করে আসছে ইনভেস্ট করতে। এখানে ভালো ভালো পরিচালক, শিল্পী, কুশলী আছে। ভালো গল্প নিয়ে যদি ছবি করে আমার বিশ্বাস আমরা আবার সেই স্বর্ণালী যুগে ফিরে যাবো ইনশাআল্লাহ।

আগে বলা হতো দুস্থ শিল্পী? শিল্পীরা কি সত্যি দুস্থ হয়? না আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হয়?
নূতন: দুস্থ শব্দটাই উচ্চারণ করা উচিত না। এখানে আমার আপত্তি। শিল্পীরা আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হতেই পারে। এটা সব জায়গায় আছে। তাই কেউ কাউকে দুস্থ বলা উচিত না।

এক সময় বলা হতো বিশেষ চরিত্রে আর এখন বলে আইটেম গার্ল। আপনার বক্তব্য জানতে চাই?
নূতন: আইটেম গার্ল শব্দটি ঠিক না। এটাতে আমার যথেষ্ট আপত্তি আছে। আইটেম কেনো বলবে? এটা হতে পারে বিশেষ চরিত্র বা গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স। একটা বিশেষ নাচ গল্পের কারণে আসতেই পারে এবং যে কোনো শিল্পীই তা করতে পারে। এদেশে আমিও করেছি অনেক। মুম্বাইয়ে রেখাসহ অনেকেই করেছে। অতিথি শিল্পীও বলা যেতে পারে। আইটেম শব্দটি আপত্তিকর।

যৌথ প্রযোজনার সুবাদে আপনি অনেক দেশের ছবিতে অনেক নামকরা অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সাথে অভিনয় করেছেন যেমন রাজেশ খান্না, মিঠুন, নাদিম, শিব শ্রেষ্ঠ । তাদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উত্তর: এখন মনে হয় ওই সময়টা যদি আবার ফিরে পেতাম তাহলে আরো ভাল কিছু অভিনয় উপহার দিতে পারতাম। খুব মনে পড়ে ওই সময়ের কথা। তখনকার সময় ছিল মন থেকে কাজ করার। ওই সময় একটা জিনিষ দেখেছি সেটা হলো নাদিম, মিঠুন সহ অন্যান্য শিল্পীরা কাজের সময় ছিল খুব পেশাদার। কাজের সময় কোনো আড্ডা হতো না। খুব এক্টিভ ছিলাম সবাই। কাজ করেছি ঠিক পরিবারের মত। কাজ শেষ করার পর আড্ডা হতো। পেশাদার ছিলাম তাই আলাদা কিছু মনে হয়নি।

আপনি বাংলাদেশের সব স্টার নায়িকাদের সাথে পর্দা ভাগ করেছেন একমাত্র শবনম ছাড়া। তাদের সাথে অভিজ্ঞতা কেমন? ফিল্মে আপনার প্রিয় বন্ধু কে?
নূতন: আমার চলচ্চিত্রে বন্ধুর কথা বললে বলবো সব মিলিয়ে শাবানা আপা।

প্রথম ছবির প্রায় অনেক বছর পর আপনাকে আবার প্রমাণ করতে হয়েছে যে আপনি একক নায়িকা হিসাবে যোগ্য ছিলেন। এত সময় লাগার কারণ কি?
নূতন: আমি ওই সময় খুব রোগা আর পাতলা ছিলাম। ছোট ভেবে হয়তো নিতে চাইতো না। এত শত বুঝতাম না। নতুন প্রভাত করার পর দেশ স্বাধীন হলো। তারপর ওরা এগারোজন আর সংগ্রাম করলাম । তারপরই দুই নায়িকা নিয়ে ছবি করার ধারা এলো। আমিও ধৈর্য্য ধরে ছিলাম। পরিচালকরা সেভাবে ভাবেনি। আমিও পথ ছাড়িনি। এক সময় পরিচালকরাও এগিয়ে এলো আমাকে ভেবে ছবি করার। পরে ঘুরে দাড়িয়েছি। সময়ের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম বলে কামব্যাক করতে পেরেছি। একক নায়িকা হিসাবে অনেক ব্যবসাসফল উপহার দিয়েছি।

চলচ্চিত্রের দুই তারা দুই রত্না, একজন শাবানা আরেকজন আপনি নূতন, একত্রে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। একে অন্যের প্রযোজনাতেও ছিলেন। সম্পর্ক কেমন ছিল?। বন্ধুত্বের না ছোট বোন, বড় বোনের? না কি শুধুই ফিল্মি ছিল?
নূতন: আমরা বন্ধুই ছিলাম। দুই প্রিয় বন্ধুর ভিতর যে সম্পর্ক থাকার কথা আমাদেরও তাই ছিল। শাবানা আপা সিনিয়র শিল্পী, কিন্তু আমাকে ভীষণ আদর করতেন আর আমরা একসাথে অনেক ছবি করেছি। আমাদের কেমিস্ট্রি ছিল দারুন। আমাদের জমতো বেশি।

এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়িকা নূতন

আমাদের দেশে সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে চলচিত্র নির্মান না হওয়ার কারণ কি বলে মনে করেন? অথচ পাশের দেশে অমিতাভ, হেমা, মিঠুন বা কলকাতার সৌমিত্র বা  অপর্ণা সেনদের বয়স ভেবে সেভাবে চলচ্চিত্র বানানো হয়।  
নূতন: আমরা যারা সিনিয়র শিল্পী আছি তারা বর্তমানে আড়ালে আছি। এখন আমাদের নিয়ে দুই সিনের গল্পওয়ালা ছবি করতে চাইলে আমি তো করবো না। আমাদের নিয়ে ছবি করতে চাইলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের ঘিরেই গল্প প্রধান ছবি লাগবে। মাঝখানে হিরো, হিরোইন থাকবে। যারা এখন গল্প গুলো লিখে তারা এসব নিয়ে ভাবে না, বা তাদের মাথায় আসেনা। ইদানিং আমার কাছে তিনটা ছবির অফার এসেছিল সব মিলিয়ে ব্যাটে বলে মিলে নাই। তাই করিনি। এখন আর দু' একটা দৃশ্যের ছবিতে আমি অভিনয় করতে চাইনা। আমাদের দেশে সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে গল্পভিত্তিক ছবি হয়না বলে আমাদের ঘরে বসে থাকতে হয়। এটা একটা মানসিক যন্ত্রণা। আমাদের কাজের ক্ষুধা সব সময় থাকে। কাজের মধ্যে থাকলে কাজের কথাই মনে হয়। কোনো মানসিক যন্ত্রনা থাকার কথা না। শিল্পীদের কাজের ক্ষুধা সব সময় থাকে। আমাদের বয়স ভেবে তেমন কোনো গল্পের ছবি হয়না আজকাল। অথচ পাশের দেশে মাধুরীকে ভেবে ছবি হচ্ছে। আমরা অভিনয় শিল্পী সারা জীবন অভিনয় নিয়ে থাকতে চাই। আল্লাহ ভালো রেখেছেন কিন্তু কাজ ছাড়া একজন পেশাদার শিল্পী কি ভাবে মানসিক ভাবে ভালো থাকে? আমরা তো চলচ্চিত্র ছাড়া বুঝিনা।

আরও পড়তে পারেন-‘চোখের বালি’ করতে না পারার আফসোস তো আজীবন থাকবে: ফেরদৌস

আপনার ভবিষ্যৎ পরিকলপনা কি?
নূতন: আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। ভবিষ্যতে কিছু করলে আপনাদের জানিয়েই করবো।

নতুনদের জন্য উপদেশ আছে কোনো?
নূতন: তাদের প্রতি উপদেশ থাকবে এই যে তাদের ভালো করে শিখে আসতে হবে, ট্রেনিং নিতে হবে, শিখার আগ্রহ থাকতে হবে। তারা যদি ডেডিকেটেড হয় তাহলে অনেক দূর যাবে। আর যদি গ্ল্যামার জগৎ দেখে মাথা নষ্ট করে তাহলে হারিয়ে যাবে। তাই নিজেকে প্রস্তত করেই আসা উচিত। না হলে হোচট খাবার চান্স বেশি।

আরও পড়তে পারেন- মুভি রিভিউ: ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ মন ভালো করার মতো সিনেমা

আবু মোহাম্মদ মাছানী

লেখক পরিচিতি: আবু মোহাম্মদ মাছানী একজন লেখক, সমালোচক ও সাংবাদিক।

ওমেন্স নিউজ/