বিচিত্র কুমারের কবিতা ‘দু’ ফোঁটা অশ্রু’

বিচিত্র কুমার

দু' ফোঁটা অশ্রু

এ জীবনে সব পেয়েছি পাইনি কারো মন
একলা একলা কাটে গেল আমার সারাটা জীবন,
চাই না আমি তোমার লগ্ন দেহ আহার ভরা বুক
শুধু আমি চেয়েছিলাম দু'ফোঁটা অশ্রু করবো বরণ।

এই আশাতে হাত বাড়ালাম রঙিন পৃথিবীতে
এমন কেউ কী নেই এই জগতে?
ঘর থেকে দু'পা ফেলিয়ে দেখি বাড়ির আগিনাতে
একটি রঙিন প্রজাপতি সুদূরে পুষ্প বাগানাতে।

রঙে ঢঙে খেলছে কত রঙিন ফুলে ফুলে
এদিকে সেদিকে মৌমাছিরা ফুলের মধু খাচ্ছে,
মিষ্টি একটা সুবাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে
ভ্রমররা ফুলে ফুলে উল্লাসে নাচানাচি করচ্ছে।

সে হাতছানি দেয় আমাকে গোপনে ডাগর ডাগর দুটি চোখে
তার এক ঝলক মিষ্টি হাসি যেন লেগে ছিলো মুখে,
সে বললো, ‘আমি হলাম রঙের রানি নিবেন আমার রঙ?
আমি আপনার একাত্বতা দূর করে দিব সুখে।’

উওরে আমি বললাম, ‘আমি শুধু দু'ফোটা অশ্রু চাই
আছে তোমার কাছে?
আমি আর রঙিন স্বপ্ন দেখতে চাই না।’ সে মৃদুস্বরে বললো,
‘আমার দু'চোখের নদী শুকিয়ে গেছে প্রথম ফাগুনবেলা ভালোবেসে
তবে আপনি নদীর কাছে যান ওর অনেক জল আছে।’

মাঠ পেরিয়ে বন পেরিয়ে অনেক কষ্টে গেলাম নদীর কাছে
একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললাম, ‘একটা সত্যিকারের ভালোবাসা চাই,
তুমি দিতে পারবে আমায় তোমার দু'ফোঁটা অশ্রু উপহার’
সেও মৃদুস্বরে বললো-‘আমার সব কিছু সাগরকে উজার করে দিয়েছি
                   এখন আপনাকে দিবার মতো আমার আর কিছু বাকী নেই?
আপনেও ইচ্ছে করলে আমার নদীতে সাঁতার কাটতে পারেন
যত খুশি তত।’,

অবশেষে চোখের পর্দা খুলে হঠাৎ দেখি
বোন হাঁসেরা সেই রূপসী নদীতে হাবুডুবু খাচ্ছে কত।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/