সাংবাদিক ফরিদা আখতার খান ফানুস আপার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

ফরিদা আখতার খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
২০ জুলাই সাংবাদিক ফরিদা আখতার খান ফানুসের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৮ সালের এই দিনে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন তিনি। মানিকগগঞ্জের চারিগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ও সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা প্রথিতযশা মওলানা গোলাম রাজ্জাক খান। চাচা শিশুসাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি খান মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন।

ফরিদা আখতার খান ফানুসের ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান অলি ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭২সালের ১২ নভেম্বর তিনি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। অকুতোভয়, মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান খান পেশাগত জীবনে ছিলেন শিক্ষক। নবাবগঞ্জ, দোহার, কেরানীগঞ্জ এই ৩ থানার কমান্ডার ছিলেন তিনি। শিক্ষকতা করতেন বলে সিদ্দিক মাষ্টার হিসেবে সমধিক পরিচিত ছিলেন তিনি।

বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ফরিদা আখতার খানের সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয়েছিল সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকার মাধ্যমে। কাজ করেছেন দৈনিক নব অভিযান, রূপালী, লালসবুজ, মুক্তকন্ঠের ফিচার বিভাগে। প্রদায়ক ছিলেন সাপ্তাহিক বিচিত্রা, চিত্রালী, পূর্বানী, পাক্ষিক যোগাযোগ বার্তাসহ বিভিন্ন পত্রিকায়। স্বনির্ভর বাংলাদেশ নামে একটি এনজিও ভিত্তিক পত্রিকায়ও কাজ করতেন। তিনি যুক্ত ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে। এছাড়াও তিনি কাজ করেছেন বার্তা সংস্থা ইউএনবিতে সিনিয়র সাব এডিটর হিসেবে। কাজ করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদ বিভাগে। তার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিলো দৈনিক ডেসটিনি।

কাব্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি, লেখালেখি, সাংবাদিকতায় ব্যস্ত থেকেও পরিবারে রেখেছিলেন সক্রিয় ভূমিকা। দেশ স্বাধীন করে বীরের বেশে তার ভাই সিদ্দিকুর রহমান খান দেশে ফিরে এলেও আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে পরিবারের হাল ধরেন ফরিদা আখতার খান।

বাবা আর ভাইয়ের আকস্মিক মৃত্যুতে সংসারে মা এবং ছোট ভাই বোন (দিলরুবা, ইমরোজ) কে ছায়ার মতো আগলে রাখায় বিয়ের পিঁড়িতেও পা রাখেননি তিনি। ফরিদা আখতার খান ফানুসের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের পক্ষে তার ছোট বোন সাংবাদিক দিলরুবা খান ও ভাই ইমরোজ সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/