মোঃ নজরুল ইসলামের কবিতা ‘খাইনি তোমার হাতে’

মোঃ নজরুল ইসলাম

খাইনি তোমার হাতে

মাগো!  মাগো, আমি কতো দিন যে
খাইনি তোমার  হাতে–
দুঃখে ভরা জীবন আমার,
কপাল আমার সাথে!!
শোয়া বসায় খোঁটা মারে
বুকে পিঠে লাথি–
দুই বেলাতে খাটন আমার
দ্যায় না মোরে খাতি!!

মেয়ে আমার সাত রাজার ধন
আনবো ঘরে আজ-
পরের ঘরে লাথি ঝাঁটার
থাক না পড়ে কাজ!!
বাপে আসুক!  বন্দো হতে
মাজায় কাপড় পড়ে–
ঝাঁটা দিয়ে পিটবো ওদের
একটা,একটা ধরে,,,,

বাপে এলে, মায়ে বাপে
গেল মেয়ের বাড়ি-
চোখে মুখে ক্ষুধার জ্বালা
ছিঁড়া পরোন শাড়ি।।
মেয়ের কপাল পুড়ছে মাগো
স্বামীর বাড়ি এসে-
জামাই আদর করছিলা তো
তোমরা হেসে হেসে।।
কাল নাগিনী শাশুড়ি মা
কথায় পারা ভার-
হাবা গোবা জামাই তোমার
কথা শোনে মা-র।

বিহান তারে পান বাঁটা দেয়
বসুন মাদুর পরে-
না খেয়ে আজ যাবেন না ভাই
আইছুন আমার ঘরে।
কোথায় গেলে বৌমা আমার
মায়ের কাছে বসো-
মা বাবাকে দেখে তুমি
ঘোমটা পড়ে হাসো!!
হাজার হলেও মাইয়াডারে
দিছুন রাজার ঘরে –
আছে আমার মেয়ে হয়ে
বড়োই আদুরে!!

হাসির মাঝেই মায়ে বলে
দেখছি সবই বিহান-
আপনি বড়োই চতুর বুড়ি
দেখছি ভারি সেয়ান!!
চকচকে আজ কাপড় পড়ে
দেখছি মুখে পান-
আমার মেয়ের পরনে আছে
হাজার ছেঁড়া কাঁথান!!!
টান দিয়ে কয় শাড়ি খানা
কার আছে তার হক্
ও বুড়ি লো জোয়ান সাজার
কেন এতো সখ?
ভাত দিবি না দাঁতের পরে
দিবো একখান বারি-
ভাঙবে সবই দাঁতের গোছা
পড়বে সারি সারি!!
ঠেলার কাছে কুত্তা পাগল
ভূতের বাড়ি ছাড়ে-
যুক্তি দিয়ে না পারিলে
পিটান দাও ধরে।

ওমেন্স নিউজ সাহিত্য/