বর্ষার এই সিজনে দেশের সব জায়গাতেই আমড়া পাওয়া যায়। টক-মিষ্টি স্বাদের এ ফলটি কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি আচার, মোরব্বা, সালাদ, চাটনি ইত্যাদি নানা খাবার তৈরি করা যায়। এমনকি আমড়া দিয়ে তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। সুস্বাদু ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। একটি আমড়ায় প্রায় তিনটি আপেলের সমান পুষ্টি রয়েছে।
ভিটামিন সি-এর উৎস: আমড়া ভিটামিন সি এ সমৃদ্ধ যা একটি অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রতিদিন যদি অন্তত একটি আমড়া খেতে পারেন তবে ভিটামিন সি এর চাহিদার ৩৯%-৪৯% পূরণ হবে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন স্কিন, লিগামেন্ট, টেন্ডন ও কার্টিলেজকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: আমড়ায় রয়েছে বিভিন্ন দ্রবণীয় ফাইবার। এই ফাইবার আমাদের পাকস্থলীর ক্রিয়া প্রক্রিয়া স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখে। ফলে বদ হজম, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্যে দূরে রাখতে আমড়া খান।
ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ: ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ের রোগ, মাংস পেশীর খিঁচুনি ছাড়াও যেসব সমস্যা দেখা যায় আমড়া তা প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিনের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে আমরা আমড়া খান।
ব্রণ দূর করে: ব্রণ দূর করতে খাবারের তালিকায় রাখুন আমড়া। ত্বকের ব্রণ কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুণ উপকার করে থাকে। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। আর ভিটামিন ‘সি’ ত্বক উজ্জ্বল রাখতে অত্যন্ত দরকারি। তাই ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে খেতে পারেন আমড়া।
রক্তস্বল্পতা দূর করে: অনেকেই রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন। তাদের জন্য আমড়া বেশ উপকারি। কারণ আমড়ায় প্রচুর আয়রন থাকার কারণে এটি রক্তস্বল্পতা রোধ করে। সাথে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা সঠিক পর্যায়ে রাখে।
সর্দি-কাশি সারায়: আমড়া সর্দি কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। যার ফলে নানা সংক্রমণ থেকে সহজেই বেঁচে থাকা যায়। ঠান্ডার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে আমড়া খান নিয়মিত।
ক্যানসার প্রতিরোধে আমড়া: আমড়ায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যানসারসহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফলে সহজেই সুস্থ থাকা সম্ভব হয়।
রুচি বর্ধক: যারা রুচিহীনতায় ভুগছেন তারা আমড়া খান। এতে আপনার মুখের অরুচিভাব দূর হবে এবং ও ক্ষুধা বাড়বে।
তাই করোনা এই সময়ে বেশি বেশি আমড়া খান ও সুস্থ থাকুন।
ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/
