পরপারে জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান

জনপ্রিয় অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন। তিনি শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ০৬ মিনিটে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

এর আগে গত বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এটিএম শামসুজ্জামানকে। তার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা।

এটিএম শামসুজ্জামানের ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে।

এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবন শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধূরির বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। এরপর খল চরিত্র বিশেষ করে গ্রাম্য মোড়লের অভিনয়ে এতটাই জনপ্রিয়তা পান যে, তখনকার চলচ্চিত্রের মন্দ মানুষ মানেই ছিল এটিএম শামসুজ্জামান। কেবল ভিলেন নয়, অন্যান্য চরিত্রেও সাবলীল অভিনয় করেন এই অভিনয় করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে’চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

কেবল চলচ্চিত্র নয়, টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এই অভিনেতা। তার অভিনীত নাটকের মধ্যে রঙের মানুষ, রঙের দুনিয়া, মুন্সি বাড়ি, ভবের হাট, ঘর কুটুম, বউ চুরি, নোয়াশাল, শতবর্ষে দাদাজান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব নাটকে তার অভিনয় দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে। যে কারণে অপেক্ষাকৃত তরুণ দর্শকদের কাছেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন এই অভিনেতা।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/