বিদেশি ফুল, ফল, ফার্নিচার ও প্রসাধনীসহ ১৩৫টি পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি

পেঁয়াজ, ফুল, বিদেশি ফল, আসবাবপত্রসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী ১৩৫টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমুলক শুল্ক আরোপ করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৩ মে) থেকেই নতুন এই শুল্ক কার্যকর হয়েছে।

চিনি, পেঁয়াজ, গাড়ী, অপরিশোধিত সরিষার তেলসহ আরও কিছু পণ্যের ওপর আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক রয়েছে। এর ফলে বিদেশি ফুল, বিদেশি ফল,বিদেশি আসবাবপত্র, বিদেশি সুগন্ধি, প্রসাধনী বা রূপসজ্জা পণ্যসহ অপরিশোধিত সরিষা তেল বা পেঁয়াজের ওপর বাড়তি ৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে।

আমদানি করা চিনির ওপর শুল্ক রয়েছে ৩০ শতাংশ।পাশাপাশি গাড়ি, গাড়ির টায়ার ইত্যাদির ওপর আগে থাকা সর্বোচ্চ বিশ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ শুল্ক দিতে হবে।

সোমবার রাতে এই নির্দেশনা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এর ফলে এসব পণ্য আমদানি আরও ব্যয়বহুল হবে এবং ক্রেতাদের এসব পণ্য ক্রয়ে আরো বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ আমদানিকারকদের এসব পণ্য আমদানি করতে বিদ্যমান কাস্টমস ট্যারিফ, মূসক, কর ছাড়াও অতিরিক্ত এই নিয়ন্ত্রণ শুল্ক দিতে হবে।

বর্তমানে বিদেশি ফলের ওপর ৫৮ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক দিতে হয়। সেখান নিয়ন্ত্রণ শুল্ক দিতে হয় তিন শতাংশ পর্যন্ত। নতুন নিয়মে এই শুল্ক তিন শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ দিতে হবে। প্রসাধনী, গাড়ির সরঞ্জাম, সুগন্ধির ওপর এখনো ১০৪ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হয়। নিয়ন্ত্রণ শুল্ক আরোপের পর এসব পণ্যের দাম আরও বাড়বে।

কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সামলাতে তারা এই নিয়ন্ত্রণ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

মূল্য বৃদ্ধির ফলে ক্রেতারা এসব পণ্য ব্যবহারে বা আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন বলে কর্মকর্তাদের ধারণা। কিন্তু দেশেই ফুল, ফল উৎপাদন বা আসবাবপত্র তৈরি হওয়ায় তা বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন তারা।

যেসব পণ্যের আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ শুল্ক বসানো হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে: আপেল, আঙ্গুর, কলা, আম, কমলাসহ বিদেশি ফল- ২০%, ফুল-২০%, অপরিশোধিত সরিষা তেল- ১০%, চিনি- ৩০%, পেঁয়াজ- ৫%,     সুগন্ধি- ২০%, দাঁত সুরক্ষার সরঞ্জাম- ২০%, প্রসাধনী- ২০%, আঠা-১৫%, গাড়ি-৩০%,  আসবাবপত্র- ২০%, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও ফার্স্ট এইড বক্স- ১০%।

বাংলাদেশের শুল্ক আইন ১৯৬৯ অনুযায়ী, সংসদের অনুমোদন ছাড়াই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রণ শুল্ক আরোপ করতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩ হাজার ৪০৮টি পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ শুল্ক রয়েছে।

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/