আফরোজা অদিতির ভ্রমণকাহিনী ‘যশোরে ঘোরাঘুরি’

যশোরে ঘোরাঘুরি

নানা রঙের ফুলের মেলা / খেজুর গুড়ে যশোর জেলা। এই লাইন দুটি হলো যশোর জেলার একটি প্রচলিত নীতিবাক্য! এই লাইনদুটিকে নীতিবাক্য বলে এই কারণে যে যশোর জেলাকে এই দুটি লাইন দিয়েই চেনা যায়। তাছাড়া যশোর জেলার খই, খেজুর গুড়, জামতলার মিষ্টি, আর ফুলের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও যশোরের কলা খেতে খুব স্বাদু! কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম যশোর। ভালো লেগেছে। অবশ্য বেড়াতে সবসময়ই খুব ভালো লাগে আমার। আমরা পদ্মাসেতু পার হয়ে গেলাম। পদ্মাসেতু হওয়াতে যাতায়াতের খুব সুবিধা হয়েছে উত্তরবঙ্গের মানুষদের! পূর্বে যমুনা সেতু দিয়ে যেতেও ভালো লাগতো এবং তখন পদ্মা সেতুর মতো এত কম না লাগলেও খুব তাড়াতাড়ি উত্তরবঙ্গে যেতে যমুনা সেতু হওয়ার আগের তুলনায় কম সময়েই যাওয়া যেত। তবে পদ্মাসেতু হওয়াতে যাতায়াত করতে আরও সুবিধা হয়েছে। যশোর বাংলাদেশের জেলাগুলোর মধ্যে ১৩তম বৃহত্তম জেলা। খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এবং খুলনা বিভাগের অন্যতম বানিজ্যিক একটি শহর যশোর। এই শহরটি ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত। এই শহরকে ফুলের রাজধানী বলা হয়। কারণ যশোরের গদখালী থেকে বেশিরভাগ ফুলই দেশের সর্বত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে।     

সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই অবিভক্ত বাংলার একটি জেলা এই যশোর জেলা। যশোর নামের উৎপত্তি সম্পর্কে নানারকম মতামত পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকদের মধ্যে এই জেলার নামকরণ নিয়েও মতবিরোধ আছে। কারও মতে আরবি ‘জসর’ শব্দ থেকে যশোর নামকরণ হয়েছে। আরবি ‘জসর’ শব্দের অর্থ সাঁকো। একসময় এই শহর নদী-নালা-খালে পূর্ণ ছিল এবং এই নদী-নালা-খালের ওপর দিয়েই সাঁকো বানিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত মানুষ। কথিত আছে পীর খানজাহান আলী বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ভৈরব নদী পার হয়ে মুড়লীতে আসেন। আনুমানিক ১৪৫০ খৃষ্টাব্দের দিকে পীর খান জাহান আলীসহ বারোজন আউলিয়া এই মুড়লীতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের প্রধান কেন্দ্র স্থাপন করেন। এবং পরবর্তীতে এই জায়গাটিতে মুড়লী কসবা নামে নতুন শহর গড়ে ওঠে। এই যশোর নামটি পীর খানজাহান আলীর দেওয়। তবে অনেকের অভিমত তিনি আসার আগেই যশোর নামটি ছিল। অন্য সূত্র থেকে জানা যায় মহারাজ প্রতাপাদিত্যের পিতা বিক্রমাদিত্য ও তার এক সহযোগী বসন্ত রায় গৌড়ের সুলতানের অপরিমিত ধনরতœ গোপনে এই এলাকায় প্রেরণ করেন। গৌড় থেকে ধনরতœ বোঝাই অসংখ্য নৌকা এখানে পৌঁছানোর পরপরই প্রতিষ্ঠিত হয় একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্র। নতুন প্রতিষ্ঠিত এই রাষ্ট্রের নামই যশোহর। প্রবাদ আছে গৌড়ের যশ হরণ করে এই এলাকার শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় এই রাজ্যের নাম যশোহর রাখা হয়। এই যশোর শব্দটি যশোহর শব্দের অপভ্রংশ। যশোর- খুলনা- বনগাঁ এবং কুষ্টিয়া ও ফরিদপুরের অংশ বিশেষ যশোরের অন্তর্ভূক্ত ছিল। এরপর নাটোরের রাণী ভবানীর রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং ১৭৮১ সালে যশোর পৃথক জেলা হিসেবে ঘোষিত হয়। এরপর ঘোষিত হয় পৌরসভা । ঊনবিংশ শতাব্দির গোড়ার দিকে কলকাতার সঙ্গে যশোরের রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শহরকেই অর্থাৎ এখান থেকেই প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়।  ১৭৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত অবিভক্ত বাংলার এই যশোর জেলাকে খেজুর গুড়ের শহর, কলার শহর, প্রথম ডিজিটাল শহর, দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রবেশদ্বারও বলা হয়।  

এই শহরের বাসিন্দাদের জীবিকা ও অর্থনীতির মূলভিত্তি হলো কৃষি। শাকসব্জি উৎপাদনে এই শহরবাসী অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। এখানে প্রচুর সব্জি উৎপাদিত হয়। ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, মূলা, সীম, বেগুন, আলু, পিঁয়াজ, লালশাক, সবুজশাক, পালংশাক, মিষ্টিকুমড়া প্রভৃতি সব্জি উৎপন্ন হয়। উৎপাদিত ফসলের মধ্যে ধান, পাট ও আখ (ইক্ষু) প্রধান। এই জেলাতে প্রায় সবধরণের মাছ পাওয়া যায়। তাছাড়া যশোরের মৎস্য হ্যাচারীগুলো সারা দেশের পোনামাছের এক তৃতীয়াংশ পূরণ করে থাকে। একদিন সকালে গিয়েছিলাম ছেলের বউয়ের সঙ্গে যশোর শহরের কাঁচা বাজারে; সেখানে বিভিন্ন রকমের তাজা মাছ একটি ওয়েল ক্লথ-এর ওপর রাখা, কোথাও রাখা ডালার মাঝে, কেউ বা রেখেছে হাঁড়িতে। মাছ আছে, আছে বেগুন, শাক, মূলা ও অন্যান্য সবজি! এছাড়াও তো আছে চাল-ডাল-চিনিসহ অন্যান্য পণ্য। যশোরের বিখ্যাত মিষ্টি তো আছে- ছানার রসগোল্লা। এটিকে জামতলার রসগোল্লাও বলা হয়। এটি সাদেকের গোল্লা নামেও পারিচিত। জামতলার রসগোল্লা খেলাম, দই খেলাম; অন্যান্য খাবারও খেয়েছি। অবশ্য হোটেল বা রেস্টুয়ারেন্টে গিয়ে নয় খেয়েছি বাসায় এনে।

যশোর শুধু খাবারের জন্য বিখ্যাত তাই নয়। এই যশোরে বিখ্যাত মানুষ জন্মেছেন। যুগ যুগ ধরে এই সকল বিখ্যাত মানুষের পদচারনায় মুখর হয়েছে এই জেলা। তারা চলেছেন-ফিরেছেন আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁদের সুন্দর চিন্তা-চেতনা ফল্গুধারার মতো বইছে এখনও।  পরবর্তী সময়েও বইবে। যশোরে অনেক অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ জন্মেছেন : তাদের অনেক কাজ আছে যা না বললে যশোরের নাম  নেওয়া বা যশোরের কথা বলাই বৃথা হবে। প্রথমে বলি সিংহ পুরুষ শিশির কুমার ঘোষ (শ্রী ঘোষ) এর কথা। শিশির কুমার ঘোষ (শ্রী ঘোষ) ১৮৫৭ সালে এন্ট্রান্স পাশ করেন। শ্রী ঘোষ ঊনবিংশ শতাব্দির একটি পরিচিত নাম। তিনি নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ঝিকরগাছাতে তার মায়ের নামে  বাজার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং পত্রিকা প্রকাশ করেছেন। ২.কর্মবীর মুন্সি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ ( ১৮৬১-১৯০৭ইং)। তিনি ছিলেন সমাজ সংস্কারক, ধর্ম প্রচারক এবং সাহিাত্যক। অনুবাদকও ছিলেন তিনি। ৩.মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেশবপুর থানার সাগরদাঁড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। মাইকেল মধুসূদন (১৮২৪-১৮৭৩ইং) বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করেন। তাঁর কালজয়ী রচনা মেঘনাদবধ কাব্য, কৃষ্ণকুমারী, তিলোত্তমাসম্ভব, বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ উল্লেখযোগ্য। ৪. জোতিস্কবিজ্ঞানী রাধাগোবিন্দ চন্দ (১৮৭৮- ১৯৭৫ইং)। তিনি ১৯১০ সালে হ্যালীর ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি শুধু হ্যালীর ধূমকেত পর্যবেক্ষণই করেননি সে সম্পর্কে একাধিক প্রবন্ধ লিখেছেন। ৫. রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার (১৮৫৯-১৯৩২ইং) লোহাগড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা, ইংরেজী ছাড়াও সংস্কৃত ভাষায় সুপ-িত ছিলেন। তিনি বাংলা, ইংরেজী শিক্ষার পাশাপাশি নিজের বাড়িতে চতুষ্পাঠী খুলেছিলেন সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা দিতে ; তিনি নীলকরদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। তিনি আইনজ্ঞ ছিলেন। ৬. প্রফেসর শরীফ হোসেন (১৯৩৪-২০০৭)  সমাজসেবক ছিলেন। তিনি ছাত্রাবস্থা থেকেই ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। ৭. শিক্ষাবিদ আব্দুর রউফ (১৯০২-১৯৭১) ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি কৃতিত্বের সাথে আই.এ, বি.এ, বি.টি পাশ করেন এবং ইউনিপ্যাথি নামে নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থার উদ্ভাবন করেন। ১৯৭১ সালে পাকি-বাহিনীর হাতে নিহত হন। ৮. অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান (১৯১৭- ১৯৭১ইং) জেলা বোর্ডে চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৩  এপ্রিল পাকি-সেনাদের হাতে নিহত হন। তিনি বাংলাদেশের একটি পরিচিত নাম। ১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর যশোর পৌর উদ্যানে শহীদ মশিউর রহমান স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধের ফলক উন্মোচন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। ৯. শেখ মোহাম্মদ সুলতান (১৯২৩-১৯৯৪) বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। তিনি এস.এম সুলতান নামেই অধিক পরিচিত। তিনি বাঁশি বাজাতে পারতেন। শিশুদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল তার সেজন্য তিনি নড়াইলে নন্দনকানন নামে একটি প্রাইমারী স্কুল, একটি হাইস্কুল ও একটি আর্ট স্কুল গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে তিনি শিশুস্বর্গ ও চারুপীঠ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শিশুদের খুব ভালোবাসতেন।

এছাড়াও বিখ্যাত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন মনোজ বসু, মুন্সী মেহাম্মদ মেহেরুল্লাহ, বেগম আয়েশা সরদার, যতীন্দ্রনাথ মূখোপধ্যায় যিনি বাঘা যতীন নামে পরিচিত। আছেন আনোয়ারা সৈয়দ হক বিখ্যাত সাহিত্যিক। তিনি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ধীরাজ ভট্টাচার্য ছিলেন পুলিশ। তিনি লেখকও ছিলেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। বেগম আয়েশা সরদার (১৯২৭-১৯৮৮) নারী আন্দোলনের সফল নেতৃত্বদানকারীদের একজন। মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সুপরিচিত একটি নাম। মো: সফি হলেন আলোকচিত্রশিল্পী। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তীকালের উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী; অনেক মূল্যবান চিত্র তার ক্যামেরায় বন্দী করেছেন তিনি। যশোরে অনেক সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তি জন্মেছেন যারা তাদের চরণচিহ্ন রেখে গেছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।     
 
যশোর জেলার বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে আছে চাঁচড়া জমিদার বাড়ি, গদখালী ফুলের বাজার, মধুপল্লী, কালেক্টরেট পার্ক, আইটি পার্ক, ইমামবাড়া, যশোর পৌর পার্ক, মধুপল্লী, এস.এম সুলতানের শিশুস্বর্গ। আরও আছে শিবমন্দির। যশোরে ভোরে এবং সন্ধ্যায় আরতির ঘণ্টা শোনা যায়, ধুপের গন্ধ পাওয়া যায়। আমারও ঘুম ভেঙেছে শাঁখের আওয়াজে আর ঘুম ভেঙেই পেয়েছি ধুপের গন্ধ। সন্ধ্যায় শুনেছি আরতির ঘন্টা। তিনদিন ছিলাম তাই কোথাও যাওয়া হয়নি। এস.এম. সুলতানের শিশুস্বর্গে গিয়েছিলাম। গিয়েছিলাম যশোর পৌর পার্কে। বেশ ছিমছাম সুন্দর। বড়ো পুকুর আছে দুইটি। আছে নারকেল গাছের সারি। ঐ নারকেল গাছ বেয়ে কাঠবেড়ালিকে উঠতে দেখেছি। কাঠবেড়ালিকে অবশ্য মাঠে ঘাসের মধ্যেও দৌড়ে বেড়াতে দেখেছি। পার্কের মাঝে সুদৃশ্য একটি ফোয়ারা আছে। বসার স্থান তো আছেই। নারীদের জন্য আছে পৃথক বসার জায়গা। আছে শরীর চর্চার মঞ্চ।

আর গিয়েছিলাম গদখালী। গদখালী ফুলের রাজধানী হিসেবে পরিচিত। যশোরের ১২টি ইউনিয়নে ফুলের চাষ হয়।  তার মধ্যে বেশি ফুল উপাদিত হয় গদখালীতে। গদখালীতে ফুলের চাষ শুরু হয়েছিল শের আলী সরদার নামে একজনের হাত ধরে। এখানে নানা ধরনের ফুল চাষ হয়। তবে গোলাপ, গাঁদা, অর্কিড পাতাবাহার, রজনীগন্ধ্যার চাষ বেশি হয়। ফুল চাষের বিশেষ ঘরকে বলে পলি হাউজ। এখানে জারবারা ফুলের চাষও হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস বা বসন্ত দিবস পালন করতে অনেক ফুলের প্রয়োজন পড়ে এবং তার কয়েকদিন পরই আসে আমাদের ২১ ফেব্রুয়ারি তখন তো ফুলের প্রয়োজন আরও বেশি। একুশে ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে গঞ্জে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার জন্য দরকার ফুলের। দেশের ফুলের বেশিরভাগ চাহিদার জোগান এই গদখালী থেকেই হয়। চাষীরাও ফুল চাষে আগ্রহী। গদখালীর যতদূর চোখ যায় শুধু দেখা যায় ফুল ফুল আর ফুল। রজনীগন্ধ্যা, গোলাপ, গাঁদা তো আছেই আরও আছে গ্লাডিওলাস, আছে জিপসি। এগুলো ছাড়াও আছে রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা। দিগন্ত জোড়া জমিতে এইসব ফুলের চাষ হয় এবং এইসব ফুল দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। যশোরের গদখালীতে নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ফুলের মৌসুম। এখানে প্রতিদিনই বাজার বসে। দিগন্তবিস্তৃত জমিতে নানা রঙের নানা জাতের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। ফুলে সুগন্ধ সঙ্গে মৌমাছির গুঞ্জন প্রজাপতির ওড়াউড়িতে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। দেখতেও ভালো লাগে। এখানে ফুল উৎপাদক ও বিপনন সমবায় সমিতি আছে। গদখালী ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।  

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রথম স্বাধীন হয়েছিল যশোর জেলা। অতি পুরাতন এবং স্বাধীন জেলাতে ঘুরতে পেরে এবং যশোর জেলার স্বনামখ্যাত ব্যক্তিবর্গের একসময়ের পদচারণায় মুখর স্থানে যেতে পেরে খুবই গর্ব অনুভব করছি এবং ভবিষ্যতে এসব স্বনামধন্য ব্যক্তিদের নিয়ে লেখার আশা ব্যক্ত করে শেষ করছি।

আফরোজা অদিতি: কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫৫টি। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার যার মধ্যে নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্র, কবি কামিনী রায় সাহিত্য পুরস্কার, কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় সাহিত্য পরিষদ, বাংলা ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ নারী লেখক সোসাইটির পুরস্কার উল্লেখযোগ্য।

ওমেন্স নিউজ সাহিত্য/