কাশ্মীর নিয়ে ফের জাতিসংঘে সরব এরদোয়ান

রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আবারও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব হন। রেকর্ড করা ভাষণে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে গেলে কাশ্মীর সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। জাতিসংঘের প্রস্তাব ও কাশ্মীরের অধিবাসীদের প্রত্যাশা মেনে এই সমস্যার সমাধান করা দরকার।’এ সময় তিনি কাশ্মীরকে একটি ‘বার্নিং ইস্যু’ হিসাবেও আখ্যায়িত করেন।

এরদোয়ান জাতিসংঘে কাশ্মীর  প্রসঙ্গ তোলার পরেই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান জানানো শিখতে হবে তুরস্ককে। তাদের নীতিতেও তার প্রতিফলন দরকার।

যদিও এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়ে কাশ্মীরের জনগণের মানবাধিকারের পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। গত বছর  মোদি সরকার এই রাজ্যটির ওপর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেবার পর এর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এরদোয়ান। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিলে কাশ্মীর ইস্যুতে আওয়াজ তুলেছিলেন।

এছাড়া গত বছরই সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে কাশ্মীর সঙ্কটের প্রতি মনোযোগ না দেয়ায় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কড়া সমালোচনা করেন।

চলতি বছরও তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে কাশ্মীর ইস্যু তুলেছেন। জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে এবং কাশ্মীরের জনগণের মতামত অনুযায়ী এই সঙ্কটের সমাধানের পক্ষে এরদোয়ান।

আর এ কারণেই ভারতের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন এই তুর্কি নেতা। নয়াদিল্লি এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আঙ্কারাকে কথা শোনাতে ছাড়ে না। এ ক্ষেত্রে তারা প্রায়ই নিজেদের সার্বভৌমত্বের দোহাই দিয়ে থাকে। ভারতের দৃষ্টিতে কাশ্মীর তাদের নিজস্ব বিষয় এবং এ নিয়ে বাইরের কারো কথা বলার অধিকার নেই। কিন্তু ভারতীয় সেনাদের নিপীড়নে অতিষ্ঠ কাশ্মীরের সাধারণ জনগণ এবং তাদের অধিকাংশই নয়াদিল্লির গোলামি থেকে মুক্তি চায়। এ নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কাশ্মীরের তরুণরা, ভারতের দৃষ্টিতে যারা বিচ্ছিন্নতাবাদী ও জঙ্গি। আর প্রতিদিনই এসব জঙ্গিদের হত্যা করার ‘পবিত্র দায়িত্ব’ পালন করে চলেছে ভারতীয় সেনারা।

সূত্র- বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/