ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্কের টানাপোড়েন, মোদিকে দুষলেন রাহুল

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে ,সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। আর এই অবস্থায় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক হাত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেছেন, কংগ্রেস দীর্ঘদিন চেষ্টা করে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিল যা তৈরি করতে কয়েক দশক লেগেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ক নষ্ট করছেন।

টুইটে ইকোনোমিস্ট পত্রিকার রিপোর্টও তুলে দিয়েছেন দিয়েছেন রাহুল। এ নিয়ে তার মন্তব্য, ‘প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বন্ধুহীন হয়ে থাকাটা ভয়ঙ্কর৷’

গত জুন মাস লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যকার সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এখনও দু দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেনা ও মন্ত্রী পর্যায়ে একাধিকবার আলোচনার পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো হওয়া মানে ভারতের কাছে অশনি সংকেত। কারণ, প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গেই নয়াদিল্লির সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক। তাই রাহুলের অভিযোগ, মোদির নীতির জন্য বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে।

গত কয়েক মাসে করোনা পরিস্থিতি, দেশের বেহাল অর্থনীতি, বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, সাধারণ মানুষের উপর বোঝা চাপানো, কৃষি বিল নিয়ে ভোটাভুটি না করা, সাংসদদের সাসপেন্ড করা নিয়ে নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করেছেন রাহুল। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। এর আগে প্রতিবেশীদের বিশেষ করে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে রাহুলকে খুব একটা গলা তুলতে দেখা যায়নি।

মোদি সরকারের সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তো আগে থেকেই খারাপ। সম্প্রতি সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছে। নেপালও নতুন ম্যাপ প্রকাশ করে ভারতীয় এলাকা দাবি করেছে। ফলে নেপালের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ নয় ভারতের। কেবল ভুটানের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো ভারতের। বাংলাদেশের সাথে  চীন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে বোঝার পরই সম্প্রতি বিদেশ সচিবকে ঢাকা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অঘোষিত সেই সফরের পর ভারত জানিয়েছিল, তারা এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে একাধিক প্রকল্পের কাজ শেষ করবে।

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

ওমেন্স নিউজ ডেস্ক/